আনন্দ মুখোপাধ্যায় :: ২৪ ঘন্টা লাইভ :: ৮ই,জুন :: কোলকাতা :: করোনার প্রভাবকে পাশ কাটিয়ে হয়তো কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ছোটো মাপের রদবদল হয়তো হতে পারে তবে সেখানে বাংলা থেকে কোনো মুখ আসবে কিনা তার কোনো সম্ভাবনা এই মুহূর্তে খুব একটা প্রবল নয় ।
২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধান সভার নির্বাচন হবে । এবার কিন্তু বিজেপির বঙ্গ ব্রিগেড পুরো দমে তৈরী হচ্ছে । এখন ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে কেন্দ্রে বঙ্গ বিজেপির প্রতিনিধিত্ব ও গুরুত্ব কিছুটা বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে বলে কেন্দ্রীয় সূত্রে খবর। সুতরাং ধরেই নেওয়া যায় যে আগামী মন্ত্রিসভার রদবদলে কিন্তু বাংলাকে সম্ভবত গুরুত্ব দেওয়া হবে বলেই মনে করা হচ্ছে ।
সম্প্রতি দিলীপবাবুর রাজ্য সভাপতি পদের মেয়াদ আর এক দফা বেড়েছে। আর দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন লকেট চট্টোপাধ্যায় । এই অবস্থায় ‘এক ব্যক্তি, এক পদ নীতি’ অনুযায়ী দলের পদাধিকারী থেকে তাঁদের মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা এখনই খুব উজ্জ্বল বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই মনে করছেন না। সাংসদদের মধ্যে মতুয়া সম্প্রদায় থেকে আসা বনগাঁর শান্তনু ঠাকুর বা ঝাড়গ্রামের আদিবাসী মুখ কুনার হেমব্রমের নাম গুঞ্জনে এগিয়ে।
বালুরঘাট এবং কোচবিহারের দুই সাংসদ সুকান্ত মজুমদার এবং নিশীথ প্রামাণিকের নামও ভেসে উঠছে ।কিন্তু যেহেতু উত্তরবঙ্গ থেকে ইতিমধ্যেই একজন প্রতি মন্ত্রী রয়েছেন তাই দক্ষিণ বঙ্গের মতুয়া সাংসদ শান্তনু ঠাকুর এবং ঝাড়গ্রামের কুনার হেমব্রমের নাম ভাবি তালিকায় বেশ জোরালো উপস্থিত জানান দিচ্ছে ।
এর মধ্যে চর্চায় রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের নামও । আপাতত মুকুল লোকসভা বা রাজ্যসভা কোথাও নেই। অবশ্য মুকুল বাবুর রেল দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী অভিজ্ঞতা রয়েছে । তাই অনেকের ধারণা তাঁকে হয়তো বিবেচনার জন্য রাখা যেতে পারে ।
কিন্তু গন্ডগোল অন্য জায়গায় । দিলীপ ঘোষের জেলা জঙ্গল মহলে বিজেপি ভালো ফল করেছে । তৃণমূল এবং বিজেপি দুই দলই কিন্তু আগামী নির্বাচনে জঙ্গল মহলে দখল কায়েম করতে চাইবে । আর সেই কারণেই দিলীপ ঘোষ তাঁর সমস্ত যুক্তিনিয়ে হাজির হবেন বিজেপির সদর দপ্তরে তাঁর জেলার উচ্চশিক্ষিত আদিবাসী মুখ কুনার হেমব্রমকে মন্ত্রী করা নিয়ে ।
আসলে শেষ বাজিটা কে মাত করবেন তাতো সময়ই বলবে তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে এবারও হয়তো মুকুল রায় তাঁর সার্বিক রাজনৈতিক প্রজ্ঞা নিয়ে বঞ্চিতই থেকে যাবেন ।