বিশেষ সংবাদদাতা :: ২৪ ঘন্টা লাইভ :: ৩রা,এপ্রিল :: কোলকাতা ::
মমতার বিজেপি
বিরোধী জোট ?
বিজেপিবিরোধী জোট গড়ার উদ্যোগ নিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোনিয়া গান্ধী, শারদ পাওয়ারসহ দেশের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ বিরোধী নেতাকে চিঠি লিখে তিনি এই প্রস্তাব দিয়েছেন। বিধানসভার ভোট শেষ হলেই এ বিষয়ে কৌশল ঠিক করা দরকার বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তৃণমূল নেত্রী।
বিরোধী নেতাদের প্রতি ২৮ মার্চ লেখা সেই চিঠি আজ বুধবার প্রকাশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এতে মমতা লিখেছেন, বিজেপি দেশে একদলীয় স্বৈরতান্ত্রিক শাসন জারি করতে চাচ্ছে। গণতন্ত্র ও সংবিধানের ওপর আঘাত রুখে দেশবাসীকে এক বিশ্বাসযোগ্য বিকল্প দেওয়ার সময় এসে গেছে।
মমতা লিখেছেন, ভোট শেষ হলেই বিজেপিকে রুখতে সবার একসঙ্গে বসে কৌশল ঠিক করা দরকার। সে জন্য সব সমভাবাপন্ন দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে লড়াইয়ে তিনি প্রস্তুত।
বিজেপির ‘গণতন্ত্র হত্যা’ ও ‘সংবিধান লঙ্ঘনের’ সাতটি উদাহরণ মমতা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন। বলেছেন, রাজ্যপালকে দিয়ে তারা একের পর এক বিরোধীশাসিত রাজ্যকে বিরক্ত করে চলেছে। রাজভবনকে করে তুলেছে দলীয় দপ্তর। বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে ব্যবহার করছে সিবিআই, ইডির মতো সরকারি সংস্থাকে। পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যে যেখানে ভোট চলছে, সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস ও ডিএমকের নেতাদের বিরুদ্ধে ইডিকে দিয়ে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে।
বিরোধীশাসিত রাজ্যের ন্যায্য পাওনা টাকা ইচ্ছে করে আটকে রেখেছে, যাতে রাজ্যে উন্নয়ন থমকে যায়। জাতীয় উন্নয়ন পর্ষদ, আন্তরাজ্য পর্ষদ, যোজনা কমিশন বাতিল করে দিয়েছে,যেখানে রাজ্য সরকারেরা তাদের দাবি পেশ করতে পারত। সন্দেহজনক সূত্র থেকে বিজেপি বিপুল অর্থসম্পদ আদায় করছে, যা দিয়ে তারা বিরোধী সরকারের পতন ঘটাচ্ছে। অ-বিজেপি দলগুলোয় ভাঙন ধরাচ্ছে। তারা শুধু রাষ্ট্রায়ত্তই করছে না, বিক্রিও করে দিচ্ছে। কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক তো অবশ্যই, বিরোধীদের সঙ্গে কেন্দ্রের শাসক দলের সম্পর্ক এতখানি তলানিতে আগে কখনো পৌঁছায়নি। এর জন্য সমানভাবে দায়ী প্রধানমন্ত্রীর স্বৈরতান্ত্রিক আচরণ।