আনন্দ মুখোপাধ্যায় :: ২৪ ঘন্টা লাইভ :: ২১শে ফেব্রুয়ারি :: ডানলপ (হুগলি) ::
ডানলপ নিয়ে
মৌনমোদী
ডানলপ ময়দানের কাছে যখন হেলিপ্যাডে নামছেন প্রধানমন্ত্রী তখন মঞ্চে বক্তব্য রাখছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায় । ইতিমধ্যেই মঞ্চস্থলে শুরু হয়ে যায় বিশৃঙ্খলা । দেখা যায় কিছু কিছু সমর্থক মঞ্চের দিকে জলের প্যাকেট ছুঁড়ছেন । এর পরেই সভা মঞ্চে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । মঞ্চে ওঠার পরেই প্রধানমন্ত্রীকে ধনেখালির তাঁত দিয়ে অভ্যর্থনা জানাল বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। এরপরেই মঞ্চে ভাষণ দিতে উঠেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রেখে মাত্র পাঁচ মিনিটেই তিনি মাইক ছেড়ে দেন প্রধানমন্ত্রীকে ।
প্রধানমন্ত্রী বলতে উঠে জানিয়ে দেন যে এখান থেকেই তিনি নোয়াপাড়া দক্ষিনেশ্বর মেট্রো রেলের উদ্বোধন করবেন । এরপরই তিনি পশ্চিমবঙ্গের সরকার ও শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ওপর তীব্র আক্রমণ শানাতে শুরু করেন । তিনি বলেন বাংলার মানুষ বাংলায় পদ্ম ফোটাবার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন । তিনি বলেন কেন্দ্রীয় সরকার নতুন ফ্রেট করিডোর চালু করেছেন পূর্ব ফ্রেট করিডরের সুবিধা পাবে বাংলা। কিষান রেলের সুবিধা পাচ্ছেন এ রাজ্যের ছোট কৃষকরা।
কিন্তু বাংলার কৃষকরা কেন্দ্রীয় যোজনার কোনো সুবিধাই পাচ্ছেন না । এক মাত্র বাংলাতেই কৃষক সন্মান যোজনা চালু হয়নি ফলে বাংলার কৃষকরা কিন্তু বিরাট সাহায্যের থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন । এই রাজ্য চালু হচ্ছেনা কারণ এই টাকা সরাসরি কৃষকদের একাউন্টে জমা পড়বে । এর ফলে কোনো কাটমানির বন্দোবস্ত করা যাবেনা । বিজেপি নতুন সোনার বাংলা গড়বে। যেখানে তোলাবাজি, দুর্নীতি থাকবে না।প্রধানমন্ত্রী বলেন ভোট ব্যাংকের রাজনীতির জন্য বাংলা পিছিয়ে পড়েছে। এই ভোট ব্যাংকের রাজনীতির জন্য এ রাজ্যে দুর্গাপুজো হয় না, বিসর্জন করতে সমস্যায় পড়ে আমজনতা।
কিন্তু ডানলপের মাঠে দাঁড়িয়ে একদা দেশ এবং বিশ্বের বাজারে স্বীকৃতি পাওয়া ডানলপ টায়ারের কারখানা নিয়ে একটি কথাও খরচ করেননি । ফলে স্বভাবতই উপস্থিত জনতা এবং বিজেপির বিভিন্ন সেলের কর্মীরা কিন্তু যথেষ্ট হতাশ হয়েছেন । তাঁদের এবং স্থানীয় মানুষের আশা ছিল যে ডানলপের মাঠে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়তো কোনো আশার বাণী শোনাবেন ।