BREAKING NEWS :: শিশু তার মায়ের মৃত দেহ নিয়ে খেলা করছে ! কেন ? দেখুন এই বিশেষ প্রতিবেদন
আনন্দ মুখোপাধ্যায় :: ২৪ ঘন্টা লাইভ :: ৩০শে মে :: কোলকাতা :: আমরা আজ শুরু করবো আয়লানের কথা দিয়ে । আপনাদের আয়লানকে মনে আছে ? সিরিয়ার সেই পরিযায়ী বালকের কথা যার বয়স তখন ছিল মাত্র তিন বছর । ভূমধ্যসাগরের তটে পড়ে থাকা তার সেই নিথর দেহটা দেখে কিন্তু সেদিন গোটা বিশ্ব কেঁপে উঠেছিল । আমাদের শিরোনাম প্রতিবেদনে আসার আগে দেখবো আর শুনবো সেই হতভাগ্য আয়লানের কথা।
আয়লান টোডি একটি সিরিয়ান শিশু তাকে পাওয়া গেলো তুরস্কের ভূমধ্য সাগরের কোলে । পড়েছিল তার নীরব নিথর দেহ । তার ভাই গালিব আর তার মা সেদিন তলিয়ে গিয়েছিলেন ভূমধ্যসাগরের অতলে । পরিবারের একমাত্র জীবিত সদস্য ছিলেন তার পিতা আব্দুল্লার । শুনবো আব্দুল্লার বেদনা বিধুর কাহিনী ।
একসময় আইলান দের বাড়ি ছিল সিরিয়ার কাবানী শহরে কিন্তু গোটা শহরটাই সেদিন আইসিস বিদ্রোহীদের হামলায় ধ্বংস হয়ে যায় । অসহায় আয়লান এর মা ভ্যাঙ্কুভারে তার বোনকে অনুরোধ করেছিল মানুষ পাচারের কারবারিরা সেদেশীয় মুদ্রায় চার হাজার ডলার চাইছে বোন আক্ষেপের স্বরে বললেন আমি দিয়েও দিলাম । সেই উত্তাল সমুদ্র পাড়ি দেবার জন্য লাইফ জ্যাকেট কেনার পয়সা টুকুও তাদের ছিলোনা তাই পরিবারের এই করুন পরিণতি ।
আমি আর এই উপাখ্যান দীর্ঘায়িত করবোনা শুধু বলে রাখি এই একটি ঘটনার ছবিতে গোটা বিশ্ব আলোড়িত হয়ে যায় আর সেদিন তুরস্ক সরকার তাদের পার্লামেন্টে ঘোষণা করেন একটি স্থায়ী নীতি যাতে ছিন্নমূল এই পরিযায়ীরা, আর তাদের স্বজন হারানোর বেদনা বিধুর কাহিনী, আর চর্চিত না হয় ।
আমার আয়লানের কথায় আসবার একটাই উদ্দেশ্য । আমাদের দেশের যে ছবি আমরা আপনাদের দেখাবো তাতে আমি আপনি নিশ্চিত ভাবেই বিচলিত হবো কোনো সন্দেহ নেই, কিন্তু আমাদের সরকার আমাদের রাজনৈতিক নেতারা দলমত নির্বিশেষে কতটা বিচলিত হবেন, ভবিষ্যতের জন্য কোন পরিকল্পনা করবেন বা আদৌ করবেন কিনা তা সময়ই বলবে ।
আসুন দেখবো সমস্তিপুরের শ্রমিক স্পেশ্যাল আসা ওই পরিযায়ী মহিলার অবিনা খাতুন এর মৃত্যু আর তার আড়াই বছরের অবোধ শিশু তার মায়ের মৃত দেহ নিয়ে খেলা করছে । আসুন শুরু করি সেই হৃদয় বিদারক কাহিনী।দেখুন সঙ্গের সেই মর্মস্পর্শী ভিডিওটি ।