SPECIAL REPORT :: ২৪ ঘন্টা লাইভের চোখে ফিরে দেখা বিষের কুড়ি

0
320

আনন্দ মুখোপাধ্যায় :: ২৪ ঘন্টা লাইভ :: ১লা জানুয়ারি :: কলকাতা :: ২৪ ঘন্টা লাইভের চোখে ফিরে দেখা ২০২০ – কেমন গেল বছরটি !

২০২০। বর্ষশেষের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে ঘুরে দেখা ফেলে আসা বছরটাকে। প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির চুলচেরা বিচার না-ই বা করলাম, ঘটনার ঘনঘটায় অন্তত বছরটা ছাপ রেখে যাওয়ার মতোই। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির সেই হিসেব-নিকেশ

১) কোভিড, লকডাউন, অতঃপর— দিনটা ৩০ জানুয়ারি। জানা গেল, কেরালায় চিন ফেরত এক জনের দেহে মিলেছে নভেল করোনাভাইরাসের উপস্থিতি। সঙ্গে সঙ্গে কোয়ারান্টাইন। খড়ের গাদার সূঁচ খোঁজার মতো শুরু হল কনট্যাক্ট ট্রেসিং। সেই সূত্রপাত, বাকিটা ইতিহাস। প্রতিদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়া। সংক্রমণের চেন ভাঙতে প্রথমে জনতা কার্ফু, তার পর লকডাউন। পলকের মধ্যে পুরো দেশ ঘরবন্দি! অত্যাবশ্যকীয় তালিকা মাস্ক-স্যানিটাইজার! জোরকদমে শুরু হল করোনার ভ…

কাদের আমরা হারালাম এই বছরে
২০২০ সালটা যেন শুধুই বিষাদের বার্তা বয়ে এনেছে। আমরা হারিয়েছি একের পর এক সেলেবদের। শুধু অভিনয় জগতের নয়। রাজনীতি জগতেরও দক্ষ নেতাদের আমরা এই ২০২০ সালে হারিয়েছি আমরা। প্রণব মুখার্জি থেকে সৌমিত্র চ্যাটার্জি। বাংলার মুখ উজ্জ্বল করেছিলেন এরা বিশ্বের দরবারে। এই তালিকা অনেক দীর্ঘ। বছরের শেষে আরও একবার দেখে নিন কাদের হারিয়েছি আমরা ২০২০ সালে।

সৌমিত্র চ্যাটার্জি

১৫ নভেম্বরবেলা ১২টা ১৫ মিনিট নাগাদ বেলভিউ হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন সৌমিত্র চ্যাটার্জি। করোনা থেকে সুস্থ হলেও ক্রমেই কোমর্বিডিটির কারণে তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপের দিক চলে যায়। চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ‘ফেলুদা’ সৌমিত্র চ্যাটার্জি।

চুনী গোস্বামী :: ৩০ এপ্রিল, ২০২০, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন কিংবদন্তী ফুটবলার চুনী গোস্বামী।

খেলার মাঠে আমরা যাদের হারালাম

দুঃস্বপ্নের বিশের কুড়ি এই বছর ফুটবল দুনিয়ায় বিশাল ক্ষতি। দুই কিংবদন্তি পিকে বন্দ্যোপাধ্যায় ও চুনী গোস্বামীকে হারিয়ে ভারতীয় ফুটবল এবছর পিতৃহারা হয়েছে। আন্তর্জাতিক ফুটবলেও তারকা খসে পড়ার সংখ্যা নেহাত কম নয়। ফুটবল ঈশ্বর দিয়েগো মারাদোনা থেকে পাওলো রোসি, বছর জুড়ে একের পর এক নক্ষত্রপতন। একনজরে ২০২০ তে ফুটবল দুনিয়া থেকে কাদের হারালাম।

৬০ তম জন্মদিন পার করেই ঈশ্বরের আপন দেশে ফুটবল ঈশ্বর দিয়েগো মারাদোনা। ৩০ অক্টোবর ৬০ পূর্ণ করার পর নভেম্বরের শুরুতে হাসপাতালে ভর্তি। মস্তিষ্কে রক্তজমাট বাঁধার কারণে পরে অস্ত্রোপচার। সফল অস্ত্রোপচারের পর ডাক্তাররা মারাদোনাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে রিহ্যাবে ছিলেন। এরপর ২৫ নভেম্বর অঘটনের রাত। হঠাৎ করেই হৃদরোগে আক্রান্ত দিয়েগো মারাদোনা। চিকিৎসকদের চেষ্টার সুযোগটুকু না দিয়েই না ফেরার দেশে পারি ফুটবলঈশ্বরের। ১৯৮৬ বিশ্বকাপের নায়কের এমন প্রয়াণ আজও মেনে নিয়ে পারেননি অনেক ভক্ত।

আলেসান্দ্রো সাবেয়া বছরভর ফুটবল বিশ্বে শুধুই যেন চলে যাওয়া। যেন নিরুদ্দেশ হওয়ার মিছিল! মারাদোনার প্রয়াণের দু’সপ্তাহের মধ্য়ে চিরঘুমে আরেক আর্জেন্তাইন। কোচ হিসেবে মেসির আর্জেন্তিনাকে ২০১০ বিশ্বকাপে ফাইনালে তুলেছিলেন, সেই আলেসান্দ্রো সাবেয়াকে এই ২০২০তে হারাতে হয়েছে। ৬৬ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি প্রয়াত হন।

সাবেইয়ার প্রয়াণের রেশ কাটতে না কাটতেই ফুটবল ফ্যানেদের ফের খারাপ খবর শুনতে হয়। ৯ ডিসেম্বর ৬৪

বছর বয়সে, না ফেরার দেশে চলে যান কিংবদন্তি পাওলো রোসি। ১৯৮২ সালে স্পেন বিশ্বকাপে ইটালিকে প্রায় একাই চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন রোসি। ৬টি গোল করে সে বার গোল্ডেন বুট জিতেছিলেন। ব্রাজিলের বিরুদ্ধে ইটালির ৩-২ ব্যবধানে চিরস্মরণীয় জয়ে রোসিই তিনটি গোল করেছিলেন। সেই রোসিকে ২০২০ সালে হারাতে হল। সত্যিই ডিসেম্বর বছর শেষেও ফ্যানেদের শুধুই কাঁদিয়ে গেল ২০২০!

বৌবা দিওপ বয়য় মাত্র ৪২! ফুটবল ছাড়ার পর এই বষয়ে যখন নতুন করে বল পায়ে নেমে কোচিং করানোর স্বপ্ন দেখার কথা, যখন নিজের শেখাটুকু পরের প্রজন্মের মধ্যে উজাড় করে দেওয়া কথা সেই সময়েই চিরঘুমে সেনেগালের কিংবদন্তি ফুটবলার বৌবা দিওপ। চলতি বছরের নভেম্বরে তাঁকে হারাল ফুটবল দুনিয়া। ২০০২ বিশ্বকাপে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন্স ফ্রান্সকে হারিয়ে অঘটন ঘটিয়েছিল সেনেগাল। সেই ম্যাচে সেনেগালকে জয় এনে দিয়েছিলেন বৌবা। শুধু তাই নয়, সেবার উরুগুয়ের বিরুদ্ধে ৩-৩ অমীমাংসিত ম্যাচেও দিওপের পা থেকে ২টি গোল আসে ।

তথ্য সংকলন স্বীকৃতি :: এইসময়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here