আনন্দ মুখোপাধ্যায় :: ২৪ ঘন্টা লাইভ :: ১লা,জুন :: কোলকাতা : : করোনার মোকাবিলায় দেশ যখন বিপর্যন্ত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে যখন কিছুটা কোণঠাসা, তখন নেপালের এই সিদ্ধান্ত বাড়তি দুশ্চিন্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতের । নেপালের এই সিদ্ধান্ত সেই সময় এলো যখন চীনের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত বিবাদ উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রায় এক মাস ধরে লাদাখের বেশ কিছু জায়গায় ভারত ও চীনের সেনারা মুখোমুখি চোখে চোখ রেখে নিজেদের দাবিতে অটল।
করোনা ও চীনের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনার পরিস্থিতিতে নেপালের ম্যাপ–বিবাদ নরেন্দ্র মোদির কাছে ত্রহস্পর্শ হয়ে দাঁড়িয়েছে।নেপাল যখন চলতি মাসের মাঝামাঝি নতুন ম্যাপ প্রকাশ করে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তখন প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছিল, এই সিদ্ধান্ত ঐতিহাসিক ঘটনা ও প্রমাণসাপেক্ষ নয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব গত বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, ‘এই একক সিদ্ধান্ত ভারত মোটেই মেনে নেবে না। বিষয়টি আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি।’ কিন্তু বিরোধী সমর্থন নিশ্চিত হওয়ার পর ভারতের প্রতিবা উপেক্ষা করে নেপাল এই সিদ্ধান্তে অবিচল ।
সেই অনড় ও অবিচল মনোভাব কিসের জোরে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কূটনৈতিক মহলে চলছে তারই জল্পনা।রাজনৈতিক পালাবদলের পর ধীরে অথচ নিশ্চিতভাবে নেপাল চীনের দিকে ঢলে পড়েছে। কমিউনিস্ট পার্টির মিলন সেই প্রবণতাকে ত্বরাণ্বিত করেছে। করোনার দরুণ আন্তর্জাতিক মহলে চীন কিছুটা কোণঠাসা। ভারতকে চাপে রাখার বাড়তি একটা তাগিদও তাই তারা অনুভব করছে। সেই জন্য নেপালকেও তারা ব্যবহার করছে।