নিজস্ব সংবাদদাতা :: ২৪ ঘন্টা লাইভ :: ১৭ই,জুলাই :: কাজিৰঙা (অসম ):: অসমে বর্তমানে বন্যা পরিস্থিতি ধারণ করেছে। গুয়াহাটিতে ব্রহ্মপুত্রের জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। গত ১৪ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে এখানে। ফলে বন্যপ্রাণীরা পর্যন্ত আশ্রয় খুঁজতে লোকালয়ে প্রবেশ করছে। আসামের ২৬ জেলায় বন্যাকবলিত ৩৬ লাখ মানুষ। ৬২৯ আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন ৩৬ হাজারের বেশি মানুষ।
কাজিরাঙা ন্যাশনাল পার্ক এলাকায় এখন ১৫৩টি রেঞ্জ জলে ডুবে আছে। মৃত প্রাণীর সংখ্যা ৬৬টি। বন্যার জলে ভাসতে ভাসতে এটি কাজিরাঙার বাগরি রেঞ্জ লাগোয়া বান্দরডুবি গ্রামের ওই বাড়ির রান্নাঘরে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল।রান্না করতে গিয়ে গৃহবধূর চোখ কপালে। চোখের সামনে জ্বলজ্যান্ত রয়্যাল বেঙ্গল দেখে বান্দরডুবি এলাকার ওই গৃহিণীর তো প্রাণ যায় যায় অবস্থা।
তার শাশুড়ি সকালে ছাগলের ঘরে ঢুকে বস্তা ভেবে এই বাঘের পিঠে হাত বুলিয়েছিলেন। বন দফতরের ২৪ ঘণ্টার অভিযানে অবশেষে অজ্ঞান করা হয় এটিকে। অভিযানের নেতৃত্বে থাকা পশু চিকিৎসক শামসুল আলী জানান, মঙ্গলবার গোটা পরিবারকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।আশপাশের মানুষকেও ঘরের ভেতর আটকে রাখা হয়েছিল। তারা মনে করেছেন, বুধবার সকাল হলে বাঘটি নিজেই চলে যাবে।
কিন্তু বেরোনোর লক্ষণই ছিল না তার। বাধ্য হয়েই ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়ার সিদ্ধান্ত হয়। শামসুলই গুলি ছোড়েন। তার পর বছর দুই বয়সী ওই বাঘটিকে নিয়ে যাওয়া হয় পশু পুনর্বাসন কেন্দ্রে। শামসুল জানান, বাঘটির ঘুম ভেঙেছে। এখন এটি বিপদমুক্ত।