ইন্দ্রজিৎ মন্ডল :: ২৪ ঘণ্টা লাইভ :: ২৭ ফেব্রুয়ারি :: বীরভূম :: আসামি আর পুলিশের এই ছুটোছুটি যেকোনো হিন্দি সিনেমার প্রেক্ষাপটকে হার মানাবে। এক আসামীকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় হাতকড়া সমেত পুলিশের হাত ছাড়িয়ে চম্পট দেওয়া। আর সেই চম্পট দেওয়া আসামীকে ধরতে তার পিছনে একাকী এক পুলিশ একটি বাইককে সম্বল করে। আর তারপর…
ঘটনার সূত্রপাত গতকাল বিকাল বেলা। সিউড়ীর হাটজনবাজারের এক বাসিন্দা সজল চক্রবর্তীকে NDPS কেসে গ্রেপ্তার করে সিউড়ী থানার পুলিশ। এদিন ওই আসামিকে সিউড়ি আদালতে নিয়ে যাওয়ার পর এজলাসের সামনে থেকেই হাতকড়া সমেত চম্পট দেয়। আসামি পালানো মাত্রই হাতের কাছে থাকা একটি মোটর সাইকেল নিয়ে আসামীর পিছন ধাওয়া করে আদালতের পুলিশ স্টাফ মীর আলম হোসেন। আসামী দৌঁড়ায়, একা এক পুলিশ পিছনে। ততক্ষণে আসামি ছুটতে ছুটতে পৌঁছে যায় কোর্ট থেকে প্রায় তিন কিমি দূরে BIET কলেজ ক্যাম্পাসের কাছে।
সে যাই হোক আসামি পালানো, আবার আসামিকে পিছন ধাওয়া করে পাকড়াও করা। কিন্তু শহরের সাধারণ বাসিন্দারা ইতিমধ্যেই একটি প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, কিভাবে আদালত চত্বরের মত এত ভিড়ভাট্টা জায়গা থেকে আসামি এইভাবে হাতকড়া সমেত চম্পট দিল?
কলেজ ক্যাম্পাসের কাছে পৌঁছে আসামি আবার একটি ঝোঁপের মধ্যে লুকিয়ে পরে। পুলিশকর্মী আলম হোসেন বাইক ফেলে আবার তার পিছনে ছুঁটে আর চিৎকার করতে থাকে ‘হেল্প হেল্প’ করে। ঠিক তখন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় BIET কলেজের ছাত্রছাত্রীরা। অবশেষে আলম ও ছাত্রছাত্রীদের পরিশ্রমের ফল পাওয়া যায়, দৌঁড়ে ধরে ফেলা হয় আসামিকে। তারপর বাইকে চাপিয়েই ফের নিয়ে আসা হয় আদালতে।