২৪ ঘন্টা লাইভ সংবাদাতা / রাজীব গুপ্তা / বারাকপুর / ২২ আগস্ট ২০২৪ : বেকারত্বের সাথে সাথে বেআইনি সরকারি ও বেসরকারি জমি ও সম্পত্তি দখলদারি রয়েছে পশ্চিম বাংলার একটি প্রধান সমস্যা। রাজ্য হোক বা কেন্দ্র সরকারের জমি , প্রায় প্রায় ৯০ শতাংশের ও বেশি ছিল বেআইনি দখলে।
এক দিকে রাজ্যসরকার বেআইনি দখলদারি সমাপ্ত করে ফেলছে নিজেদের জমি থেকে । একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিজেই উঠে যেতে বলা হচ্ছে, নাহলে বুলডোজার লাগিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে রাজ্য সরকারের জমিতে অবৈধ ভাবে তৈরি সেই সব দোকান ঘর।
মুখ্যমন্ত্রীর একটি নির্দেশে সমস্ত দোকানপাট তুলে দেয়া হচ্ছে যে, জায়গায় দীর্ঘদিন যাবৎ নিজেদের দখল হয় যাওয়া খালি কোয়াটার বা জমি থেকে কাউকে উচ্ছেদ করতে বিফল থাকতো রেল প্রশাসন।
এতদিন উচ্ছেদ করতে গেলেই রেল পুলিশের সামনে বাধা হয় দাঁড়াতো রাজ্যের শাসক দলের ক্ষমতাসীন নেতারা।
কিন্তু বর্তমানে যখন নিজেদের জমি থেকে সাধারণ মানুষ কে বিনা কোনো দ্বিধায় তুলে দিচ্ছে রাজ্য সরকার, এর পর চিন্তা মুক্ত হয়েছে রেল প্রশাসন। তারাও সমস্ত রকম প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছেন বেআইনি ভাবে দখল হয় যাওয়া নিজেদের জমি ও পরিত্যক্ত কোয়াটার থেকে দখলকারীদের উচ্ছেদ করে দিতে।
ইতি মধ্যে বৃহস্পতিবার শহরজুড়ে দখলদারি উচ্ছেদ অভিযান চালালো চিত্তরঞ্জন রেল প্রশাসন। বুলডোজার লাগিয়ে চিত্তরঞ্জনের ফতেপুর সবজি বাজার ও সংলগ্ন এলাকায় বসে থাকা অবৈধ দোকান পাট ভেঙে দিলো রেল পুলিশ ।
জানা গিয়েছে এই অভিযান গোটা দেশ জুড়ে রেলের সমস্ত জমি জায়গা দখলমুক্ত করবে ভারতীয় রেল কতৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে কাঁচরাপাড়া এলাকা জুড়ে অবৈধ দখলদারির ঘুঘুরবাসা হয় পড়েছে রেলের জায়গা এবং পরিত্যক্ত কোয়াটারগুলি। কোথাও আবার টাকা পয়সা নিয়ে অবৈধ বাংলাদেশী এবং রোহিঙ্গিয়া দের কে বেআইনি ভাবে বসিয়ে দেওয়ার প্রমান সহ গুরুতর অভিযোগ এসেছে।
এদের ফলে দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে ছোট্ট খাটো চুরির ঘটনা, এমন কি মোবাইল ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন স্বয়ম CWM । এতে ভীষণ চিন্তিত রেল ও পুলিশ প্রশাসন, নজরদারিতে রাখা হয়েছে রাজনীতির আড়ালে লুকিয়ে থাকা সেই সব দালাল দের কে।
শীঘ্রই তাদের বিরুদ্ধে হবে তদন্ত এবং উচিৎ আইনি ব্যবস্থা। অপরদিকে কাঁচড়াপাড়া ও হালিশহর জুড়ে উচ্ছেদ অভিযানে নামার জন্য কোমর বেঁধে প্রস্তুতি নিচ্ছে রেল প্রশাসনিক কর্তারা।