২৪ ঘণ্টা লাইভ সম্বাদাতা / রাজিব গুপ্তা/ কাঁচরাপাড়া/ তেসরা সেপ্টেম্বর ২০২৩ : আসছে পুজোর মসরম আর বেড়ে আসছে কেনাকাটার প্রবণতা । ইতি মধ্যে কাঁচরাপাড়া হয় উঠেছে বিভিন্ন শপিং মল থেকে শুরু করে বাজার হাটের এক অন্যতম স্থান ।

কারণ স্থানীয় বীজপুর বিধায়ক এবং দুই পৌরসভার চেয়ারম্যান দের প্রচেষ্টা ও সহযোগ থাকছে এখানে আরো বেশি থেকে বেশি প্রতিষ্ঠান নিয়ে আসার দিকে । তাদের চিন্তা যে এতে এখানে ব্যবসায় বৃদ্ধি তো হবেই তার সাথে স্থানীয় বেকার যুবক যুবতীরা খুঁজে পাবে কর্মসংস্থান।

কিন্তু প্রশ্ন যে এখানে যতই নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান আসলেও সকলের ইচ্ছে পূরণ কি হচ্ছে ? কারণ এখানে দেখা যাচ্ছে বাহিরে থেকে নানান্ন শপিং মল আসছে কিন্তু বেশির ভাগ তারা টিকছে না বেশি দিন । আসছে আর যাচ্ছে ।

শুধু তাই নয় তারা সামান্য সংখ্যায় স্থানীয়দের কাজে রাখলেও বেশির ভাগ কর্মী নিয়োগ করছে বিভিন্ন দালাল সংস্থা মানে ম্যান পাওয়ার সাপ্লাই এজেন্সি থেকে । যারা কাজ দেওয়ার নাম করে মোটা অনকে টাকা আদায় করে নেয়। অন্যদিকে এই ধরনের “আয়া রাম গায়া রাম” কোম্পানির মল গুলো তে কাজ পাচ্ছে আবার কিছুদিনের মধ্যেই সেই কোম্পানি মল গুটিয়ে নিয়ে উঠে যাচ্ছে আর তাদের সাথে সাথে ভেঙে যাচ্ছে এই গরীব ঘরের ছেলে মেয়েদের স্বপ্ন ।

এই মল গুলির ব্যবসা হানির কারন বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে যেসব প্রতিষ্ঠানে জিনিস পত্রের মান ঠিক সেখানে মানুষ পুনরায় গ্রাহক হয় যাচ্ছে যাকে বলা হয় রিটার্নিং কাস্টমার।

কিন্তু যারা শুধু অফার টফার দিয়ে হাটের মাল এনে বিক্রি করছে সেখানে গ্রাহক একবার ঠকে গিয়ে আর সেখানে যান না । এমন কি এই সব সংস্থায় যেহেতু মালিক স্বয়ং বসেন না তাই তাদের কাছে গিয়ে কোয়ালিটি সম্পর্কে অভিযোগ করেও কিছু লাভ হয় না বরং সেখানে স্টাফ দের কাছে প্যাক খেতে হয় গ্রাহক কে ।

সেজায়গায় স্থানীয় দোকান থেকে জিনিস পত্র কিনলে কোনো সুবিধে অসুবিধে বলার সুযোগ থেকে এবং লোকাল দোকানদার গ্রাহকদের কে ঈশ্বর তুল্য মর্যাদা দিয়ে থাকেন, যা এখানে কল্পনাও করা যেতে পারেনা ।

আজ আবার কাঁচরাপাড়া লেলিন সরণিতে একটি মল এর উধবোধন হলো, অবশ্যই আমরা তে শ্রীবৃদ্ধি কামনা করি । তবে উদ্বোধনের প্রাক্কালে গতকাল সন্ধ্যা বেলা সেখানে বাহিরে আলোক সজ্জায় ভরিয়ে দিয়ে ঢাকি রেখে শুরু হলো ঢাক পেটানো ।

তা দেখে অনেকেই ভাবলেন যে মল খোলা, তাই ভেবে এক মহিলা সম্ভবতঃ নিজের মেয়ের সাথে সেই মলে ঢোকার চেষ্টা করতেই সেখানে গেটের সামনে দাড়িয়ে থাকা এক কর্মচারীর সাথে লাগে হালকা ধাক্কা । তাতে সেই কর্মচারীর হাতে থাকা চায়ের কাপ পড়ে যায় ।

তাতেই সেই গ্রাহক এর সাথে যা অভদ্র ব্যবহার করলেন সেই কর্মচারী মনে হলো সেই মহিলার খুব বড় একটি অপরাধ হয়েছে । যাই হোক এর পর সেই মহিলা আর এই মলে যাবেন কি না সেটা বিরাট প্রশ্ন ।

কিন্তু এই দিক থেকে দেখা যাচ্ছে মানুষ এবার এই নতুনত্ব মল গুলি থেকে দূরে সরে গিয়ে পুরানো ও বিশ্বস্ত মল কিং লোকাল দোকান থেকে জিনিস পত্র কিনতে বেশি আগ্রহী । গান্ধী মোড়ে কেনাকাটা করতে আসা দুয়েক মানুষের প্রতিক্রিয়ায় উঠে আসলো যে লোকাল দোকান থেকে জিনিস পত্র কিনলে অন্ততঃ এলাকার বৃদ্ধি ঘটবে আর তাদের মালিক গুলোর ব্যবহার অবশ্যই মলের ম্যানেজার বা কর্মচারী দের থেকে অনেকগুণ ভালো ।

তার পাশাপাশি এদের কাছে গ্রাহক হলে পরস্পর সুসম্পর্ক তৈরি হয় তথা তাদের একটি দায়বদ্ধতা থাকে কারণ এরা দোকান বন্ধ করে পালাবেন কোথায় । তাই বর্তমানে তারা লোকাল দোকান বা বিশ্বস্ত মল বা শোরুম থেকে কেনাকাটা করতে বেশি আগ্রহী।