২৪ ঘণ্টা লাইভ সংবাদদাতা/ রাজিব গুপ্তা/ ২০ মার্চ ২০২৩: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এগিয়ে থাকলো রাজ্য । স্কুল থেকে হাসপাতাল বাদ যায়নি কিন্তু পৌরসভা গুলো । যেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা নিয়োগের নামে নাকি নিজেদের স্বজন পোষণ কেই দিয়েছিলেন প্রাধান্য।

তবে শুধু স্বজন-পোষণ বললে ঠিক হবে না, কারণ এতে লেনদেনেরও অভিযোগ উঠেছে প্রচুর মাত্রায় টাকার । দেখা গিয়েছিল যে নেতারা একসময় সাইকেল করে ঘুরে বেড়াতেন কিংবা সাধারণ জামাকাপড় ব্যবহার করতেন তারা পৌরসভার দায়িত্ব থাকার কয়েক বছরের মধ্যেই বদলে ফেলেন নিজের জীবনযাপনের ধরন।

বিলাসবহুল গাড়ি বাড়ি এবং প্রচুর সম্পত্তির মালিক হয়ে পড়লেন রাতারাতি। তবে বর্তমানে এই সব দুর্নীতিগুলোতে বিশেষ নজর দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দপ্তর গুলি ।

শোনা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে বিভিন্ন পৌরসভায় নিয়োগ প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখবে তারা । এমনও সোনা গিয়েছে বিজপুর বিধানসভা অন্তর্ভুক্তে দুই পৌরসভা কাঁচরাপাড়া ও হালিশহরেও গন্ধ পাওয়া গিয়েছে এই ধরনের কর্মকাণ্ডের ।

মনে করিয়ে দিলাম যে ২০১৭ সালে পুরো প্রধান অংশুমান রায়ের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতির নিয়েঅভিযোগ এনে লড়াই করেছিলেন পৌর পার্ষদ মৃত্যুঞ্জয় দাস, প্রণব লোহ, অশোক যাদব এবং তৎকালীন তৃণমূল নেতা প্রবীর সরকার এর নেতৃত্বে মোট ১১ জন কাউন্সিলর ।

কাঁচরাপাড়া পুরো প্রধান সুদামা রায়ের বিরুদ্ধেও এরমই অভিযোগ আসে এবং সেই সময় এই বিষয় উপপ্রধান মাখন সিনহার একটি বিষফোঁড়া অডিও ভাইরাল হয়েছিল ।

২০২২ এর পৌরসভা নির্বাচনে তাই তাদের প্রার্থী করেনি দল । অবশ্যই এই দুই পুর প্রধান ছিলেন বীজপুর তৎকালীন বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়ের খুবই ঘনিষ্ঠ । বর্তমানেও শুভ্রাংশু রায়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা যাচ্ছে এই দুই প্রাক্তন পৌর প্রধান দের ।

তবে সে সব অভিযোগ কতটুক সঠিক কিংবা যুক্তিসম্মত এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয় কিন্তু আমরা বিগত দিনে খবর করেছিলাম এবং প্রশ্ন করেছিলাম হালিশহর পৌরসভার আড়াই বারের প্রাক্তন পুরো প্রধান অংশুমান রায়ের বিষয়। পৌর প্রধান পদ থেকে অপসারিত হওয়ার পর তিনি হঠাৎ করেই হয়ে উঠলেন প্রোমোটার ।

নিজের স্ত্রীর নামে নিয়োগ করছেন বিভিন্ন বহু দলগুলিতে । সম্প্রতি হালিশহর ফেরিঘাটের সংলগ্ন একটি প্রমোটিং এও তার স্ত্রীর নাম রয়েছে পার্টনারশিপে বলে খবর করেছিলাম আমরা এবং প্রশ্ন করেছিলাম তার কাছে এত টাকার উচ্চতা কি আমরা জানতে চেয়েছিলাম প্রোমোটিং এর জন্য এত লগ্নি তিনি আনলেন কোথায় থেকে ?

কি ছিল তার বিগত দিনের করবার ? না কি অংশুমান রায় নিজের অতিরিক্ত অনৈতিক আয়ের অর্থ গুলি স্ত্রীর মারফত নিয়োগ করছেন প্রমোটিং ব্যবসায়? অবশ্যই এটি আমাদের অভিযোগ নয় শুধুমাত্র মানুষের জিজ্ঞাসা একটি প্রশ্ন মাত্র।

আশা করি আগামী দিন এই প্রশ্নের উত্তর তিনি জনগণের সামনে দেবেন আর নাইবা দিলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দপ্তর নিশ্চয়ই নজর দেবেন এই দিকে বলে আশাবাদী আমরা ।