নিজস্ব সংবাদদাতা :: ২৪ঘন্টা লাইভ :: 12 ই অক্টোবর :: হালিসহর :: হালিশহর পৌরসভায় নতুন প্রসাশক আসার পর কিছুদিন এলাকায় বেশ সক্রিয় ছিলেন নতুন প্রসাশক রাজু সাহনী।
কিছুদিন সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ ছিল অনৈতিক কাজকর্ম কিন্তু ইদানিং হালিসহরের কয়েকটি জায়গায় বর্তমানে পৌরসভা ও নির্বিকার মনে হচ্ছে। হয়তো একাধিক ব্যাপার এবার পৌঁছচ্ছে না পুরো প্রশাসকের নজরে।
যেরকম, হালিশহর 4 নম্বর ওয়ার্ড, যেটি আগে ছিল প্রাক্তন উপ পৌরপ্রধান (কাউন্সিলর) রাজা দত্তের ওয়ার্ড। কিন্তু তিনি বিজেপিতে যোগ দেবার পর সেই ওয়ার্ডে ব্যাহত হয়েছিল তার সক্রিয়তা ।
বর্তমানে সেই ওয়ার্ডে একাধিক পুকুর ভরাট করে জমি আমদানি করার কাজ চলছে রমরমিয়ে।
রাতের অন্ধকারে মাটি এনে পুকুর ছোট্ট করে দিনের বেলা সাধু সাজছেন পুকুরের মালিক।
হালিশহর 4 নম্বর ওয়ার্ডে চৌধুরীপাড়ায় “ফন্টে” নামক বিখ্যাত এক ব্যক্তি, জিনি নিজেদের পারিবারিক এই জলাশয় টি ঘিরে অর্ধেক ভাগ বেআইনিভাবে বুঝিয়ে ফেলে।
প্রথমে তিনি পূখুর বোঝানোর অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেন, পরবর্তী সংবাদমাধ্যম কে এইসব খবরে নাক না গলাতে হুঁশিয়ারি দেন। তারপর স্থানীয় কিছু নেতাদের এই কাজে সামিল থাকারও কথা জানান ।
যাই হোক না কেন আমরা উপরে সেই পুকুরের ছবি দিয়ে দিলাম, যেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে একটি পুকুর চারপাশ থেকে বাধানো হয়েছে। তবে এটাও জানিয়ে রাখি যে উক্ত পুকুর এর প্রায় অর্ধেক শতাংশ ভাগ রাতারাতি মাটি ফেলে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। এবার দেখার বিষয় হালিশহর পৌরসভার এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেবে নাকি, আবার রাজা দত্তের পরম্পরা ই থাকবে অব্যাহত।
আপনাদের মনে থাকতে পারে বিগতদিনে হালিশহরের জেঠিয়াতেও চলছিল অবৈধ পুকুর ভরাট। সেই সময় খবর প্রকাশ হলে নৈহাটি বিধায়ক পার্থ ভৌমিকের তৎপরতায়, জেঠিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এর উপস্থিতিতে আবার থেকে সেই পুকুর খনন করে পুরনো অবস্থায় ফিরিয়ে দেয়া হয় সেই জমি।