নিজস্ব সংবাদদাতা :: ২৪ ঘন্টা লাইভ :: ২৮ ফেব্রুয়ারি :: কলকাতা :: দলের প্রতি আস্থা হারিয়ে বিজেপি ছাড়লেন অভিনেত্রী সুভদ্রা মুখোপাধ্যায়। মৌখিক প্রতিবাদ নয়, আনুষ্ঠানিকভাবেই বিজেপি-র সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করেছেন তিনি। সুভদ্রার মনে হয়েছে, ২০১৯-এর পর থেকে সব কিছু বদলে গিয়েছে। হিংসা, মারপিট ছাড়া দেশের উন্নয়ন কোথায় হচ্ছে। কপিল মিশ্র, অনুরাগ ঠাকুরদের মতো মানুষকে তিনি ‘সহযোদ্ধা’ হিসেবে মেনে নিতে পারছেন না বলেও জানিয়েছেন সুভদ্রা।
সিএএ ইস্যুতে এখন জ্বলছে দিল্লি। সাম্প্রদায়িক হিংসা ও বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে দেশজুড়ে। সুভদ্রা জানিয়েছেন, গোটা ঘটনায় বেশ কিছুদিন ধরেই ক্ষোভ তৈরি হচ্ছিল তাঁর মনে। তাঁর মনে হয়, দ্বিতীয়বার যখন সরকার তৈরি করেন নরেন্দ্র মোদী, তখন অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেগুলির সঙ্গে একমত ছিলেন অভিনেত্রী। তাই বিজেপি যোগ দেন। কিন্তু বর্তমানে মোদী সরকার সেই প্রতিশ্রুতি থেকে অনেকটাই সরে এসেছে। তিনি একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে দলের কিছু কর্মকাণ্ডের সঙ্গে একমত হতে পারছিলেন না। তাই বিজেপি সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি।
২০১৩ সালে বিজেপিতে যোগ এই অভিনেত্রী। সাত বছরের মধ্যেই মোহভঙ্গ হওয়ার কারণ কী? উত্তরে সুভদ্রা বলেন, ওই সময় মোদীজিকে দেখে অত্যন্ত উদ্বুদ্ধ হয়েছিলাম যে একটা মানুষ আমার দেশের জন্য, দশের জন্য এতটা ভাবছে। আমি ভেবেছিলাম তাঁর স্বপ্নকে সত্যি করার জন্য, তাঁর পায়ের তলার কর্মী হয়ে আমি কাজ করব। আমি বরাবর ওইভাবেই দলে থেকেছি। কোনওদিন কোনও পদ চাইনি। আমি নিজেকে সাধারণ কর্মীই মনে করি। কিন্তু তাঁর যে ভাবনা দেখে আমি প্রলুব্ধ হয়ে রাজনীতিতে এসেছিলাম, সেগুলো আর চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি না… সবকিছু বিধ্বংসী লাগছে! ২০১৯-এর পরে যেন সব বদলে গিয়েছে।
তিনি বলেন, দিল্লিতে যেভাবে হিংসা ছড়াচ্ছে, আগামিকাল যে কলকাতায় হবে না, এমন কেউ জোর দিয়ে বলতে পারে না। তখন কেউ ছাড়া পাবে না, সবাই হিংসার বলি হবে। আজ যেমন দিল্লিতে হচ্ছে। দিল্লিতে তো ভাইয়ে ভাইয়ে ঝগড়া লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভোটের আগে কলকাতায় যদি এমন ঘটনা ঘটে, তা হলে ঠেকাবে কে? আজ একটা সম্প্রদায় হুমকি দিচ্ছে, কাল অন্যরা দেবে। এভাবেই চলতে থাকবে।