কুকুরের কামড়ে নাজে হাল চিকিৎসক থেকে রোগী,আক্রান্ত ১৪জন।

0
603

নিজস্ব সংবাদদাতা :: ২৪ ঘণ্টা লাইভ :: ৩ ফেব্রুয়ারি ::মালদহ:: কুকুরের কামড়ে নাজে হাল চিকিৎসক থেকে রোগী। ইতিমধ্যে কুকুর কামড়ে আক্রান্ত ১৪জন। ঘটনাটি মালদা মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে। ঘটনায় হাসপাতালের পক্ষ থেকে খবর দেওয়া হয় অ্যানিম্যাল কেয়ার ইউনিটের সদস্যদের। অবশেষে শনিবার রাত্রিবেলা কুকুরকে নজর বন্দী করে ধরে। আর এই ঘটনা ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে মেডিক্যালে।

জানা গিয়েছে, বিগতে দিন দেখা গিয়েছে সদ্যজাতকে মুখে করে ঘুরছে কুকুর। এমনকি ওহরহ দেখা যায় সুযোগ বুঝে এখনো হাসপাতালের আনাচে কানাচে ঘুরছে কুকুর বিড়াল। এই ঘটনায় হুঁশ ফেরেনী মেডিক্যাল কলেজ কতৃপক্ষের। এর ওপর বেশ কিছুদিন থেকে উপদ্রব শুরু হয়েছে কুকুরের কামড়ের। ঘটনায় ১৪জন ব্যাক্তিকে কামড় দেয় ওই কুকুরটি। রাতের অন্ধকারে আকছার হাসপাতালে ঘুরে বেরায় কুকুর।

আক্রান্তদের মধ্যে কেউ ছিলো অসুস্থ রুগী, কেউবা হাসপাতালে দেখতে আসা রোগীর আত্মীয় বাদ যায়নি ডাক্তারও। তার ওপর এক জুনিয়ার ইন্টার্নাল চিকিৎসককে কামড় দেয় কুকুর। ফলে কুকুরের কামড়ের আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে মেডিক্যালে। এরপর কতৃপক্ষকে জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। বহু প্রচেষ্টার পরও ওই কুকুরকে ধরা সম্ভব হচ্ছিলো না। তারপর এসিস্ট্যান্ট সুপার ফোন মারফত মালদা এনিম্যাল কেয়ারের হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করেন।

খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছে কুকুরটিকে নজর বন্দী করে। হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী ও মালদা এনিম্যাল কেয়ার ইউনিটের সদস্যরঅ হাসপাতাল চত্তরকে ঘেরে ফেলে। প্রায় ৩ ঘন্টা পরিশ্রম করার পর ওই কুকুরটিকে ধরে ফেলে। এরপর তাকে হাসপাতালেই আন্টি রাবিশ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। কুকুরটিকে রেসকিউ করাতে আতঙ্ক কিছুটা হলেও কমে কতৃপক্ষ সহ রুগি ও রুগীর আত্মীয়দের।

চিকিৎসা করতে আসা রোগীর আত্মীয় রেশমা বিবি জানান, চিকিৎসার ক্ষেত্রে মালদা মেডিক্যালের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। সেখানে কুকুরের কামরের আতঙ্ক ছরাচ্ছে। এটা কতৃপক্ষের গাফিলতির কারনে এই ঘটনা ঘটছে। কতৃপক্ষকে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত।
মালদা এনিম্যাল কেয়ার ইউনিটের সদস্য স্বরূপ চ্যাটার্জী বলেন,কুকুরের কামড়ের আতঙ্কে ছিল মেডিক্যাল কলেজ। তারা খবর পেয়ে নজর বন্দী করে ধরে। ওরাও সমাজের জীব তাই ওদের সাথে খারাপ কাজ করা সমাজের জীব হিসাবে গণ্য নয়। তাই তাকে বিশেষ পদ্ধতিতে ধরে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এসিস্টেন্ট সুপার ইসমাইল শেখ বলেন,কুকুরের কামরের আতঙ্ক ছড়িয়েছিল মেডিক্যালে। এতে অনেকে আক্রান্ত হয়েছে। ওই কুকুরকে কোন মতেই ধরতে পারছিল না কেউ। ফলে দিনে দিনে রোগী ও রোগীর আত্মীয় সহ চিকিৎসকের আতঙ্কিত হয়ে পরছিল। আমাদের এক চিকিৎসকও আক্রান্ত হয়েছে। কতৃপক্ষেরয়কাছে খবর পেয়ে কুকুরটিকে ধরে ভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আতঙ্ক মুক্ত মেডিক্যাল কলেজ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here