কৃষিবিল না তুললে ৮ই,ডিসেম্বর ভারত অচল করতে অনড় আন্দোলনকারী কৃষকেরা – দেশ তাকিয়ে সরকারের দিকে !

0
270

আনন্দ মুখোপাধ্যায় :: ২৪ ঘন্টা লাইভ :: ৫ই,ডিসেম্বর :: কলকাতা :: কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসার এদিন আগে মোদী-শাহ-রাজনাথ বৈঠকে বসেছিলেন। ছিলেন কৃষি ও রেলমন্ত্রীও।এদিনের এই বৈঠক ছিল অত্যন্ত  গুরুত্বপূর্ণ । কৃষক নেতাদের সামনে সরকার সুনির্দিষ্ট কী প্রস্তাব পেশ করতে চলছে, মূলত তা নিয়েই আলোচনা হয়েছিল।

শনিবার বেলা আড়াইটে নাগাদ কৃষকদের সঙ্গে দিল্লির বিজ্ঞানভবনে পঞ্চম দফার আলোচনায় বসেছিলেন কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর এবং রেল, বাণিজ্য ও খাদ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়ল। কৃষকদের কাছে কেন্দ্রের প্রস্তাব লিখিত ভাবে দেওয়া হয়। সরকারের তরফে ওই লিখিত কাগজ পাওয়ার পর ১৫ মিনিটের বিরতি নেওয়া হয়েছিল। কৃষকরা পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা আর কোনও আলোচনা চাইছেন না। এ বার সমাধান চান। সরকার তাঁদের দাবি নিয়ে কী স্থির করেছে, তা জানাতে হবে।

যদিও এদিন সরকার কিছুটা নরম মনোভাব দেখালেও কিন্তু কৃষি সংক্রান্ত সবক’টি নয়া আইন বাতিলের দাবিতে কৃষক সংগঠনের নেতারা অনড় রয়েছেন। কৃষকদের লাগাতার আন্দোলনের জেরে এদিন পিছিয়ে আসে কেন্দ্র। ফার্মার্স প্রোডিউস ট্রেড অ্যান্ড কমার্স আইনের ৬ এবং ১৫নম্বর ধারা সংশোধনে রাজি হয় সরকার। কিন্তু, এদিনের বৈঠকে কৃষক নেতার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, নয়া কৃষি আইনগুলি সরকারকে প্রত্যাহার করতেই হবে।

বিভিন্ন কৃষক সংগঠনের ৪০ জন প্রতিনিধি শনিবার বারবেলার এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। সরকারের তরফে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর শুরুতেই বলেন, ‘আমরা আন্তরিক আলোচনায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নতুন কৃষি আইন সম্পর্কিত সমস্ত ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া সরকার স্বাগত জানাবে।’

এদিন বৈঠকের পরেও আন্দোলনকারী কৃষকরা ভারত বন্‌ধের কর্মসূচি থেকে সরছেন না। ৮ ডিসেম্বর ভারত বন্‌ধের ডাক দেওয়া হয়েছে। অন্য রাজ্যগুলির সঙ্গে বাংলাতেও এই বন্‌ধের প্রভাব পড়তে পারে। তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কৃষকদের বন্‌ধের প্রতি দলের নৈতিক সমর্থন রয়েছে। তবে আমরা বন্‌ধ করছি না।’ সুদীপের বক্তব্য, এই কৃষি বিল প্রত্যাহার করা হোক। বিলটিকে স্ট্যান্টিং বা সিলেক্ট কমিটিতেও পাঠানোর কথা বলেন তিনি।

মোটামুটিভাবে একটা কথা বলাই যায় যে কৃষকরা তাঁদের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন এবং ৮ই ডিসেম্বর তাঁরা সারা ভরাট জুড়েই সমস্ত বলল প্লাজা এবং হাইওয়েগুলি বন্ধ করে একটা সারা জাগানো বন্ধ করতে বদ্ধপরিকর । কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার যদিও কৃষকদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন কিন্তু ভারত বন্ধের ইস্যুতে কিন্তু সায়নেই মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here