২৪ ঘন্টা লাইভ সংবাদদাতা / রাজীব গুপ্তা / ব্যারাকপুর / ৩০ অক্টোবর : কোনো অভিমান নিয়ে চলেন না বিজ্পুরের বর্তমান বিধায়ক সুবোধ অধিকারী, আবারো তা হলো প্রমাণিত। তার বিরুদ্ধে কেউ যতই কুৎসা বা কটূক্তি করা হোক, কান দেন না তিনি।
এক দিকে সুবোধ অধিকারীর বিরুদ্ধে আলাদা জোট তৈরি করার আপ্রাণ চেষ্টা করে গেলেন তার কাছে হেরে যাওয়া প্রার্থী এবং বীজপুরের প্রাক্তন বিধায়ক শুভ্রাংশু রায় । আর অন্যদিকে সৌজন্যতার উদাহরণ পেশ করলেন সুবোধ অধিকারী।
তৃণমূলে আসার সত্বেও তার বিরুদ্ধে লাগাতার বিস্ফোরক মন্তব্য করেন এবং আলাদা মঞ্চ তৈরি কর রেখেছেন শুভ্রাংশু, সুদামা ও অংশুমান রায় দের জোট।
প্রায় রাজনৈতিক ভাবে কোণঠাসা হয় পড়েছেন চাণক্য পুত্র । বলাই যেতে পারে যে এক সময় থুতু ফেলেছেন যাদের দিকে, সেটা আজ চাটতে হয়ছে । কুৎসা করে নানন রকমের তকমা দিয়েও, তার কাছে হেরে গিয়ে আবার তার আন্ডারেই রাজনীতি করতে বাধ্য হতে হচ্ছে ।
কারণ নিজস্ব কোনো বৈদ্যুতিক সংযোগ তো নেই এবং ইনভার্টার মানে বাবার জামানা শেষ, রাজনীতিতে তার জামানত হয়ছে জব্দ। প্রাক্তন বিধায়ক শিক্ষক জগদীশ দাস, প্রাক্তন সাংসদ তড়িৎ বরণ তোপদার এর সাথে থেকে তুলনা করলে আজও তাদের সাথে বা পাশে দেখা যায় মানুষ। মৃণাল কান্তি সিং রায় তো আজীবন সাংবিধানিক কোনো পদ অর্জন করতে পারেন নি।
তাও তার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত মানুষ ছিলেন তার পাশে, তার শেষ যাত্রায় রাস্তার দুই ধারে দাড়িয়ে কেঁদেছেন সাধারণ মানুষ । মৃত্যুর পর আজ ও তাকে শ্রদ্ধা করে বীজপুর বাসি। সুবোধ এবং কমল অধিকারীও অনুসরণ করে চলেছেন একই পথ ।
নিরন্তর তাদের থেকে সেবা লাভ করছেন বীজপুরের মানুষ । রাজনীতি থেকে তারা অর্থ উপার্জন করেন না এমন ই দাবি মানুষের । ঠিক তার বিপরীত পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে মুকুল রায়ের সাথে । আজ তার অসুস্থতার ছবি দেখেও সহানুভূতির সৌজন্যতা দেখাচ্ছেন না বেশির ভাগ মানুষ।
এই প্রশ্নের জবাব খুব একটা কঠিন নয় যে তার এই ছবি তুল্য কে আর ভাইরাল করলো কে । যে বাড়িতে এতো নিরাপত্তারক্ষী, বাহিরে লোকেদের ভেতরে যাওয়া মানা এবাং তার ঘরে সমস্ত জায়গায় সিসিটিভি অন্যদের যাওয়া একেবারে বরণ । সেখানে এই প্রশ্নের জবাব ও পেয়ে যাওয়ার কথা ।
তবে ছবি তুলে ভাইরাল করে দেওয়ার শুধু মাত্র দৃষ্টি আকর্ষনের একটি ট্রিক বলে মনে করছেন মানুষ । কারণ আজ কেউ রাখেন না খোঁজ খবর, করেন না শ্রদ্ধা, তার পাশে যাওয়ার রুচিও রাখেন না । এর পর আবার ফেসবুকে এসে নানান রকম সাফাই ও দিলেন শুভ্রাংশু । সে সময় এই ছবি দেখে তার মনের ইচ্ছে বুঝতে পেরে বিধায়ক রূপে তার বাড়ি যাওয়া প্রয়োজন মনে করলেন সুবোধ অধিকারী ।
তাই বিজয়া শুভেছা বিনিময়ের বাহানায় মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক কে নিয়ে সোমবার পৌঁছলেন রায় বাড়ি তে । তারা মুকুল রায়ের স্বাস্থ্যের বিষয় খবর নিলেন । এর পর এক বারের জন্য ও সুবোধের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করলেন না শুভ্রাংশু। তবে তার চেহারায় সন্তুষ্টি দেখে মনে হলো যে হারিয়ে যাওয়া রাজনৈতিক অস্তিত্ব আবারও ফিরে পেলো রায় বাড়ি ।
সম্প্রতি দেখা গিয়েছিল নিজের বিরোধী জোটের গুরুত্বপূর্ন সদস্য সুদামা রায় ও অংশুমান রায়ের বাড়িও গিয়েছিল। কিন্তু সুদামা ও অংশুমান রায়ের বাড়িতে ।
তবে সম্প্রতি দেখা গিয়েছিল নিজের বিরোধী জোটের গুরুত্বপূর্ন সদস্য সুদামো ও অংশুমান রায়ের বাড়িতে CBI হানার পর গিয়ে দেখা করে এসেছিলেন এই জনদরদী বিধায়ক ।
তাই ফটো ভাইরাল করে সামান্য দৃষ্টি আকর্ষন তৈরি করলেও তাদের কে আর ক্ষমা করছে না বিজপুর বাসি, এমন ই উঠে আসলো দৃশ্য ।