নরেশ ভকত :: ২৪ ঘন্টা লাইভ :: ২০শে ডিসেমবর :: বাঁকুড়া :: বিষ্ণুপুরে এসে তৃণমূলের বঙ্গধ্বনি যাত্রা এবং দুয়ারে সরকার কর্মসূচির তদারকি করলেন বাঁকুড়ার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান শুভাশিস বটব্যাল। শনিবার তিনি শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তেজপাল এলাকা পরিদর্শন করে স্থানীয় মানুষদের অভাব অভিযোগ শোনেন। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন ‘বঙ্গধ্বনি যাত্রার উদ্দেশ্য গত দশ বছরে আমাদের সরকার কী কাজ করেছে এবং ৩৪ বছরে বাম সরকার কী কাজ করেছে মানুষদের তার তুল্যমূল্য বিচার করতে।
আমি সব জায়গায় ঘুরছি। মানুষের কাছে ভালো সাড়া পাচ্ছি। এই এলাকা কৃষিপ্রধান এলাকা। কৃষকদের জন্য আমাদের সরকার ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পে চাষ করার জন্য আর্থিক সাহায্য দিচ্ছে। ১৮-৬০ বছর বয়সের মধ্যে কেউ হঠাৎ মারা গেলে সেই পরিবারকে এককালীন ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হচ্ছে। কৃষি বিমা করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৫৬টি প্রকল্পর মাধ্যমে মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সব সুযোগ সুবিধা সরকার দিচ্ছে।
এখন স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে রাজ্যের সব মানুষদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেওয়া হচ্ছে। যাতে চিকিৎসার ক্ষেত্রে ওই কার্ডের মাধ্যমে মানুষ ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার সুবিধা পাবেন। মানুষের জন্য এতো পরিষেবা কোনো রাজ্য বা কেন্দ্রের সরকারও দিতে পারেনি’।তেজপাল এলাকায় যাওয়ার জন্য একটি কাঠের সেতু গত বর্ষায় ভেঙে যাওয়ায় মানুষের যাতায়াতের ক্ষেত্রে খুবই সমস্যা হচ্ছে। যা নিয়ে এলাকার মানুষ একাধিকবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। দাবি তুলেছেন কাঠের সাঁকোর পরিবর্তে পাকা সেতু করে দেওয়ার। কিন্তু প্রশাসন বা পুরসভার গাফিলতিতে তা আজ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি।
এদিন শুভাশিসবাবু সেই গাফিলতির কথা স্বীকার করে বিষ্ণুপুর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নাম না করে তাঁর দিকে অবিযোগের আঙুল তুলে বলেন ‘সেতুটি যাঁর করে দেওয়ার কথা ছিল তিনি নিজের ধান্দা গোছাতে এখন পালিয়েছেন। এই কাজ অনেক দিন আগেই করে দেওয়া উচিত ছিল। আমরা সেতুর তৈরির উদ্যোগ নিয়েছি। মাটি পরীক্ষা হয়ে গেছে। খুব তাড়াতাড়ি কাজ শুরু হবে’।