কল্যাণ মন্ডল ::২৪ঘন্টা লাইভ ::২৫ই জুন ::পশ্চিম মেদিনীপুর :: বাড়ির এক অনুষ্ঠানের জন্য ডেকে আনা হয়েছিল পুরোহিতকে।আর সেই পুরোহিতের বিরুদ্ধেই এক নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠায় তাকে গলায় প্ল্যাকার্ড ও টিন ঝুলিয়ে ঘোরানো হলো গ্রামের রাস্তায়। পরে ভিডিও ভাইরাল হওয়াযর পর ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। এর পর ঐ নাবালিকার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ঐ পুরোহিত কে গ্রেফতার করে দাঁতন থানার পুলিশ। ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন থানার নারায়নচক গ্রামের। অভিযুক্তকে শুক্রবার মেদিনীপুর জেলা আদালতে তোলা হয়।
ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। জানাগেছে প্রৌঢ় এক পুরোহিতকে গলায় প্ল্যাকার্ড ও টিন বেঁধে ঘোরানো হয় এলাকায় ।তার অপরাধ লেখা প্ল্যাকার্ডে। লেখা ছিল-“আমি শিশু ধর্ষণ করার অপরাধে আমার এই শাস্তি”। এ হেন ঘটনায় শোরগোল পড়েছে এলাকায়। এলাকায় ঘোরানোর ভিডিও ভাইরাল হয়। দেখাযায় অনেকেই ভিডিও তোলেন মোবাইলে। পেছনে উৎসাহে অট্টহাসিতে ফেটে পড়লেন জনগণ। অভিযোগ অনুষ্ঠান বাড়িতে এসে সেই বাড়ির এক শিশু কন্যার সঙ্গে ‘খারাপ’ আচরণ করেছেন। এর ‘শাস্তি’তে মধ্যযুগীয় বর্বরতার নিদর্শন উঠে এল দাঁতনের এই গ্রামে।
অভিযুক্তকে গ্রামে ঘোরানোর একটি ভিডিও সামনে আসতেই শোরগোল পড়েছে এলাকায়। পরে অভিযুক্ত পুরোহিতকে বৃহস্পতিবার গ্রাম থেকে আটক করে পুলিশ। পরিবার সূত্রে খবর, বুধবার বাড়িতে শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠান ছিল। খাওয়ার ব্যবস্থাও ছিল। পাশের গ্রামের এক প্রৌঢ় পুরোহিত ঠাকুরের বিগ্রহ নিয়ে এসেছিলেন অনুষ্ঠান বাড়িটিতে।
পরিবারের অভিযোগ, একসময় শিশু কন্যাকে আড়ালে নিয়ে গিয়ে পুরোহিত ‘খারাপ’ আচরণ করেন। দেখতে পাওয়ার পর তাকে বাড়িতে আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ বিকেলে গলায় প্ল্যাকার্ড ও টিন ঝুলিয়ে পুরোহিতকে এলাকায় ঘোরানো হয়। প্ল্যাকার্ডে লিখে দেওয়া হয়-‘আমি শিশু ধর্ষণ করার অপরাধে আমার এই শাস্তি’।পুলিশ অভিযুক্ত পুরোহিত কে পকসো আইনে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে। তবে অভিযোগের বিষয়েও পরিবারের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।