নিজেস্ব প্রতিনিধি ::২৪ঘন্টা লাইভ ::১৬ই জুলাই :: বসিরহাট :: এক বছর 3 মাস আগে দেখাশোনা করে কলকাতার দমদম থানার পূর্বসিথি বিধান পল্লীর কন্যা দিশা বারিকের সঙ্গে হাড়োয়া গোবরিয়া গ্রামের বাসিন্দা সুভাষ মন্ডল এর বিবাহ হয়, বিবাহের পর থেকেই গালিগালাজ অকথ্য অত্যাচার শারীরিক-মানসিকভাবে দিয়ে আসত বলে বধূর বাপের বাড়ির অভিযোগ। বিবাহের সময় নগদ 30 হাজার টাকা ক্যাশ দিয়ে বিবাহ হয়, তারপর থেকে আরও টাকা নিয়ে আসতে বলে বধূর বাপের বাড়ি থেকে, কিন্তু ঐ বধূ বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসতে না পারায় দিনের-পর-দিন অত্যাচারের মাত্রা বেড়েই চলেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাট মহকুমা হাড়োয়া থানার হাড়োয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবরিয়া গ্রামের ঘটনা ।গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন নির্যাতিতা বধু | বধূর বাপের বাড়ির লোকজনকে খবর দেয়, তারা এসে হাড়োয়া থানায় খবর দিলে, ঘটনাস্থলে হাড়োয়া থানার পুলিশ এসে ওই বধুকে উদ্ধার করে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দিশা বারিককে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকরা।
মৃত বধুর বাপের বাড়ির পরিবারের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে হাড়োয়া থানায়, সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, ঐ বধূর মৃত্যুতে দমদম সিথি বিধান পল্লী এলাকা এবং হাড়োয়া গোবরিয়া এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বধূর বাপের বাড়ির অভিযোগ, তাদের মেয়েকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। পুলিশ সম্পূর্ণ ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে, শুধুই কি অত্যাধিক পণের দাবিতে এই ঘটনা ঘটেছে। না অন্য কোনো কারণ আছে, পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত নেমেছে হাড়োয়া থানার পুলিশ। মৃত বধুর শশুর, শাশুড়ি, স্বামী সহ পরিবারের সদস্যদের হাড়োয়া থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।