পেশায় তিনি শিক্ষক কাজের ফাঁকে শিল্প ভাস্কর্যের জিনিস তৈরী করেন

0
131

সুব্রত দাস::২৪ঘন্টা লাইভ ::৩০ই সেপ্টেম্বর ::নদীয়া :: পেশায় তিনি শিক্ষক। কাজের ফাঁকে শিল্প ভাস্কর্যের নেশাটা ছিল তার বরাবরই। কল্যাণী গয়েশপুরের বাসিন্দা তপন পাল, তিনি হাওড়া বেলুড় হাই স্কুলের অংকন বিভাগের শিক্ষক। 1994 থেকে বিভিন্ন শিল্প ও ভাস্কর্যের সাথে পথ চলার সূচনা তার। আগে মূলত ছবি আঁকার দিকেই ঝোঁক ছিল তার। কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে , মাটি হোক বা পাথর অথবা ব্রঞ্চ, ইট, বাশ, গাছের গুড়ি যেকোনো জিনিসের মধ্যই এক জীবন্ত আকৃতির ভাস্কর্য তুলে ধরাই তার বরাবরের নেশা।

বিগত প্রায় কুড়ি বছর ধরে বিভিন্ন দুর্গাপুজার মন্ডপে দুর্গা প্রতিমা তৈরি করতেন তিনি। কোনটায় মাটির প্রলেপ অথবা মিষ্টি আবার কোনটায় গাছের ডাল, পাতা, বোতল, শিশি, ফুচকা, কাঠ, টেরাকোটা, গাছের গুড়ি, সবজি অথবা বাসনপত্র মূলত এই সকল উপকরণ দিয়েই দুর্গা প্রতিমা তৈরি করতেন তিনি।

কিন্তু গত বছর থেকে মহামারীর কারণে সরকারি নিয়মাবলী কে মান্যতা দিতে বিভিন্ন ক্লাব কমিটি গুলির দুর্গাপূজা সেইরকমভাবে সারম্বর না করার দরুন নিজের হাতে তিনি তৈরি করতে পারেননি কোন মন্ডপের দুর্গা প্রতিমা। তাই এই বছরে নিজের বাড়িতেই একটি রাবার কেকের মধ্যে খোদাই করে আগমনী মায়ের মূর্তি তৈরি করে তাক লাগালেন শিল্পী। সাধারণত আমরা জানি পেন্সিলের দাগ তোলার জন্যই ব্যবহৃত হয় এই রাবার। আর এবার সেই দাগ তোলার উপকরণ কেই খোদাই করে দুর্গা মূর্তি তৈরি করে কল্যাণী গয়েশপুরের তপন পাল দাগ কাটলেন গোটা রাজ্যে। রাবারের মধ্যে এই দুর্গা মূর্তি তৈরি করতে শিল্পীর সময় লাগে মাত্র 15 দিন। মূর্তিটির উচ্চতা 6 , চওড়া 2 ও গভীরতা 1 সেন্টিমিটার। এর আগেও শিল্পী তপন পাল ইট খোদাই করে দুর্গা প্রতিমা তৈরি করে এশিয়া বুক অফ রেকর্ডস ও ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে তার ভাস্কার্য তুলে ধরেছেন। সর্বদাই নতুন কিছু ভাস্কর্য তুলে ধরার চেষ্টা করতেন তিনি।

Advertisement 8240054075

বিগত বছর ধরে উত্তর 24 পরগনা থেকে নদীয়া জেলার বিভিন্ন ক্লাব সংগঠন গুলিতে দুর্গোৎসবের সময় বিভিন্ন উপকরণের মাধ্যমে দুর্গা প্রতিমার মূর্তি তৈরি করে ফুটিয়ে তুলেছিলেন তার ভাস্কর্য । কিন্তু গত বছর ধরে কোভিড মহামারীর কারণে সকল ব্যয়বহুল দূর্গৎসব কমিটি গুলি থেকে সেই রকম ভাবে সাড়া পাননি তিনি, তাই এই বছর সামান্য একটি রাবার কেক কে খোদাই করে মাত্র 6 সেন্টিমিটার উচ্চতার অতি ক্ষুদ্র একটি দুর্গা প্রতিমা তৈরি করে, তাতে রঙের প্রলেপ দিয়ে নিজের বাড়িতেই আমন্ত্রণ করলেন দেবী আগমনীর। আগামী দিনে আরও কিছু নতুন ভাস্কর্য তৈরি করবার লক্ষ্যে কল্যাণী গয়েশপুরের শিক্ষক তপন পাল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here