অনিকেত বাউরি ::২৪ঘন্টা লাইভ ::৮ই জুন ::বড়জোড়া :: করোনা আবহে যখন অ্যাম্বুল্যান্সের চাহিদা তুঙ্গে, ঠিক তখনই দু’-দুটি অ্যাম্বুল্যান্স অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। বাঁকুড়ার বড়জোড়া ব্লক এলাকার বেলিয়াতোড় এলাকার ঘটনা। আর এনিয়েই শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী তর্জা।স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বড়জোড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন আশুতোষ মুখার্জী। পরে তিনি তাঁর বিধায়কের এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে ছান্দার গ্রাম পঞ্চায়েতের বারবেন্দ্যা ও পিড়রাবনী গ্রাম পঞ্চায়েতের পিড়রাবনী দু’টি অ্যাম্বুল্যান্স দেন।
পরে বেশ কিছুদিন সব ঠিক ঠাক চললেও দীর্ঘদিন তা অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে। সাধারণ আমজনতা অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। চলতি করোনা সময়ে এই দুই অ্যাম্বুল্যান্স চালু থাকলে সাধারণ মানুষ যথেষ্ট উপকৃত হতেন বলেই এলাকার মানুষের দাবি ।স্থানীয় বাসিন্দা শরৎ কুমার মান্নার দাবি, গত তিন চার বছর ধরে ‘অচল’ অবস্থায় অ্যাম্বুল্যান্সটি পড়ে আছে। এলাকার মানুষের স্বার্থে প্রধানকে দ্রুত ঐ অ্যাম্বুল্যান্সটি সারানোর দাবি জানালেও কোন কাজ হয়নি বলে তিনি অভিযোগ করেন।
‘শাসক দল ও প্রশাসনের উদাসিনতা’র কারণেই অ্যাম্বুল্যান্স গুলি অচল অবস্থায় পড়ে আছে। দাবি বিজেপির। দলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা কমিটির সদস্য সঞ্জয় পাল বলেন, এই এলাকায় কোন অ্যাম্বুল্যান্স নেই। চলতি করোনাকালে মানুষের স্বার্থে পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতির তরফে দ্রুত ঐ অ্যাম্বুল্যান্সগুলি সারাই করে পথে নামানোর দাবি তিনি জানান।জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ও বড়জোড়া পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য কালীদাস মুখোপাধ্যায় বলেন, ছান্দার ও পিড়রাবনী গ্রাম পঞ্চায়েতের ঐ অ্যাম্বুল্যান্স দু’টি দীর্ঘদিন নয়, সাম্প্রতিক সময়ে নষ্ট হয়েছে।
খুব তাড়াতাড়ি কাজ হবে। তার পরেও করোনাকালে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবার জন্য প্রশাসন প্রস্তুত। বিজেপির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ক্ষমতায় আসতে না পারার ‘জ্বালা’ সহ্য করতে না পেরেই ওঁরা এসব বলছেন বলে তিনি দাবি করেন।টেলিফোনে বলেন বাঁকুড়া সদর মহকুমাশাসক সুশান্ত কুমার ভক্ত বলেন, বিষয়টি তিনি বিডিও-র মাধ্যমে খোঁজ খবর নেবেন। পরে এবিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান