বাঁকুড়ায় কয়েকশো পরিবারকে জমির পাট্টা দেওয়ার কর্মসূচি নেওয়ায় খুশি বাসিন্দারা

0
578

নরেশ ভকত :: ২৪ ঘন্টা লাইভ :: ১ লা মার্চ :: বাঁকুড়া ::পৌরসভা ভোটের আগেই সোনামুখী পৌরসভার অধীনে কয়েকশো পরিবার দীর্ঘদিন ধরে বনদপ্তরের জায়গায় বসবাস করছেন । কিন্তু তাদের জমির কোন কাগজপত্র না থাকায় তারা সরকারি আবাস যোজনা বাড়ি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পৌরসভার অধীনে বসবাসকারী কয়েকশো পরিবারকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁকুড়ার রবীন্দ্রভবনে প্রশাসনিক বৈঠকে নির্দেশ দেন আলোচনার মধ্য দিয়ে সেই সমস্ত পরিবারগুলিকে জমির পাট্টা দিতে । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই নির্দেশ মেনে পৌরসভার উদ্যোগে বনদপ্তর ও জেলা প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে ।

ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে সেই সমস্ত পরিবারগুলিকে চিহ্নিত করে পাট্টা দেওয়া। আর সে মতোই দীর্ঘ কয়েক দশক পর জমির পাট্টা হাতে পাওয়ার আশায় খুশির হাওয়া বনদপ্তর এর জায়গায় বসবাস করে স্থানীয় বাসিন্দারা । দীর্ঘদিন ধরে এই পরিবারগুলোর পাশে থেকে তাদের জন্য লড়াই চালিয়ে গেছেন সোনামুখী পৌরসভার পৌরপিতা সুরজিৎ মুখোপাধ্যায় ।
সুনন্দন ব্যানার্জি নামে 13 নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা বলেন , বিগত 30-35 বছর ধরে আমরা এখানে বসবাস করছি , যেহেতু এটা ফরেস্টের জায়গা সে কারণে সমস্ত সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলাম । সুতরাং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে উদ্যোগ নিয়েছেন এর আগে কোন সরকার নেননি এই উদ্যোগে আমরা আনন্দিত । যে সমস্ত সরকারি সুযোগ-সুবিধা এতদিন পর্যন্ত বন্ধ ছিল সেগুলো মমতাদির উদ্যোগে সেই সুযোগ সুবিধা গুলো পেতে চলেছি

কাজল কর নামে অপর এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন , আমাদের পক্ষ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই । এর আগে যাদের ভোট দিয়েছি তারা কোন কিছুই করে দেননি , কিন্তু সোনামুখী পৌরসভার পৌরপিতা সুরজিৎ মুখোপাধ্যায় জমির পাট্টা করে দেন। তবে আগামী দিনে স্থানীয় বাসিন্দারা পৌরপিতার সাথেই আছে বলে জানান তিনি ।
সোনামুখী পৌরসভার পৌরপিতা সুরজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন , দীর্ঘদিন ধরে এই কাজগুলো বন্ধ ছিল । এবারের প্রশাসনিক বৈঠকে আমি এটা মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টিতে নিয়ে আসি । উনি তৎক্ষণাৎ নির্দেশ দেন এবং সে মাফিক কাজ শুরু হয়েছে , জেলা প্রশাসনও তৎপর । স্বাভাবিকভাবেই মানুষের দীর্ঘদিনের যে চাহিদা পূরণ হচ্ছে এতে আমরাও খুশি । কারণ এই সমস্যাগুলি থাকার জন্য সরকারি নানান প্রকল্প থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছিল তাদেরকে সুযোগ সুবিধা গুলো আমরা দিতে পারছিলাম না , এবার থেকে আমরা তাদেরকে সুযোগ-সুবিধা দুহাত ভরে দিতে পারব । যারাই দীর্ঘদিন বনদপ্তর এর জায়গায় বসবাস করছেন তারাই জমির পাট্টা পাবেন এটাই মুখ্যমন্ত্রীর ডাইরেকশন বলে জানান তিনি ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here