ইন্দ্রজিৎ মন্ডল ::২৪ ঘণ্টা লাইভ :: ২২ ফেব্রুয়ারি :: বীরভূম :: শুক্রবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিশ্বভারতীতে এই দিনটি পালন করার জন্য বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ক্ষুরধার আক্রমণ করেন বিশ্বভারতীর অধ্যাপক অধ্যাপিকা, ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে এলাকার ব্যবসায়ী সমিতি এমনকি সাংবাদিকদেরও। তাঁর মুখ থেকে ঝড়ে পড়ে একের পর এক বেফাঁস মন্তব্য।
আমি কিন্তু বলবো, আমাকে কেউ আটকাতে পারবেনা। আমি যেটা করতে এসেছি সেটা করবোই। কারণ বিশ্বভারতীতে আমি কিছু পেতে আসিনি।” ঠিক এভাবেই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের মঞ্চ থেকে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের মুখ থেকে বেফাঁস মন্তব্য শোনা গেল শুক্রবার।
এরপরেই তিনি বলতে শুরু করেন, “বিশ্বভারতীকে সবাই সোনার হাঁস দেওয়া ডিম মনে করেন। বলতে লজ্জা লাগলেও এটাও সত্য, বিশ্বভারতী থেকে অনেকের পেট চলে। ব্যবসায়ীদের বিশ্বভারতীর পৌষ মেলায় দোকান না করলে পেট চলে না, বসন্ত উৎসব নাহলে বোলপুরের হোটেল ব্যবসায়ীদের হোটেল বুক হয় না, সাংবাদিকদের বিশ্বভারতী নিয়ে খবর না করলে পেট চলে না। অথচ ওই ব্যবসায়ীরায়, যাদের সাথে বিশ্বভারতীর কোন সম্পর্ক নেই তারা বিশ্বভারতীতে এসে উপাচার্যকে মা বাবা তুলে গাল দিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী ছাত্ররা আজ কোথায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডানপন্থী ছাত্ররা আজ কোথায়।”
তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রথমেই বলেন, “আমি যেটা বলতে যাব জানি সেটা আগামীকাল বড় বড় হয়ে সংবাদপত্রে বেরোবে, অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করা হবে। এমনকি অধ্যাপকরাও ছাড়বে না। আমি কিন্তু বলবো, আমাকে কেউ আটকাতে পারবেনা। আমি যেটা করতে এসেছি সেটা করবোই। আমাকে যতই অপমানিত করা হোক আমি বলব। কারণ বিশ্বভারতীতে আমি কিছু পেতে আসিনি।”