রামকৃষ্ণ পাল ::২৪ঘন্টা লাইভ :: ১০ই অগাস্ট ::ঝাড়গ্রাম :: বিশ্ব আদিবাসী দিবসের শুভ সূচনা লগ্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দরজার গলায় ঘোষণা করলেন, বাংলার আদিবাসী মা-বোনেরা এবং গুণীজনেরা অন্য রাজ্যের তুলনায় তারা ভালো আছেন। ভালো থাকার পাশাপাশি তাদের সম্পূর্ণ উন্নয়নের বিকাশে বাংলার সরকার সদা তৎপর। বাংলার আদিবাসী মানুষ জনেরা তাদের সৃষ্টি এবং কৃষ্টি কে যেভাবে তুলে ধরে রেখেছেন সেভাবেই রাজ্য সরকার ও তপ্রোতভাবে তাদের পাশে রয়েছেন।
ইতিমধ্যেই কেন্দ্র সরকার কে সারনা এবং শারি ধর্মকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এক পরিসংখ্যান তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, জয় বাংলার মাধ্যমে বাংলার আদিবাসী মানুষ জন এবং তপশিলি সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষজনের ইতিমধ্যেই যাদের 60 বছর হয়ে গিয়েছে তারা পেনশন পাচ্ছেন। সামনে যে দুয়ারে সরকার বসবে, সেখানে যাদের 18 থেকে 60 বছর বয়স হয়েছে তারা লক্ষীর ভান্ডার থেকে 500 এবং 1000 টাকা করে পাবেন।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বেলা দুটো নাগাদ ঝাড়গ্রাম ঘড়াধরা স্টেডিয়ামের অনুষ্ঠান মঞ্চে এসে যোগ দেন। তিনি সরাসরি অনুষ্ঠান মঞ্চে উঠে আদিবাসী মানুষজনের যে নিত্য চলছিল সেখানে এসে পাঞ্চি শাড়ি পড়ে তাদের সঙ্গে যেমন নাচ করলেন, পাশাপাশি ধমসা এবং ঝুমকা বাজালেন। যেটা বাংলার ইতিহাসে এযাবৎকাল পর্যন্ত কোন মুখ্যমন্ত্রী কোন সম্প্রদায়ের নিত্য অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে নাচ এবং বাদ্যযন্ত্র বাজান নি।
নাচের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যেমন নাচ করলেন, বাদ্যযন্ত্র বাজালেন, তেমনি শহীদ বীর বিরসা মুন্ডা এবং অন্যান্য স্বাধীনতা সংগ্রামীর সাঁওতাল বিদ্রোহের নেতৃত্বেকে প্রণাম করে পুষ্পবৃষ্টি করলেন। এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠান মঞ্চে ছিলেন ঝাড়গ্রাম এর চার বিধায়ক এবং প্রাক্তন সাংসদ ডাক্তার উমা সরেন। মঞ্চে ছিলেন মানস ভুঁইয়া, শ্রীকান্ত মাহাত, জেলা পরিষদের সভাধিপতি মাধবী বিশ্বাস। এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতে লোধা শবর সমাজের গুণীজন হিসেবে খ্যাত প্রহ্লাদ ভোক্তা কে সম্বর্ধিত করেন। এবং তার লিখিত বেশ কয়েকটি বই তিনি উপহার হিসেবে গ্রহণ করেন। এছাড়াও আদিত্য কিস্কু থেকে শুরু করে একাধিক গুনে মানুষজনকে তিনি সম্বর্ধিত করেন।