২৪ ঘন্টা নিউজ ব্যুরো :: ১০ই,জুলাই :: নয়াদিল্লি :: নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি ওলির ভারত সম্পর্কে তীর্যক বক্তব্য ও দেশটির ওপর চীনের প্রভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় নেপালের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল শুরু হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ওলি প্রতিদ্বন্দ্বী দল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির নেতা পুষ্প কমল দহলের সাথে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে কমল দহল জানান, এখন তার শাসনের পালা। তিনি বলেন, আসন্ন দিনগুলোতে দলীয় ধারাবাহিক বৈঠকের আগেই ওলিকে তার পদ থেকে সরানো হবে কিনা সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
সম্প্রতি ভারতের তিনটি অঞ্চল নেপালের নতুন মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী ওলি। এটি সংসদে পাসও হয়েছে। গত সপ্তাহে ওলি এক বক্তব্যে বলেছিলেন, তার নিজের দলের সদস্যদের সাহায্য নিয়ে ভারত তাকে পদ থেকে অপসরণের চেষ্টা করছে।তার এ বক্তব্যের পরই নয়াদিল্লির সাথে কাঠমান্ডুর সম্পর্কের আরো অবনতি হয়। তবে ভারত এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
নেপালের সাথে সাম্প্রতিক সময়ে চীনের সখ্যতা বেড়েছে। নেপালে বিমানবন্দর, মহাসড়ক ও জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণে চীনের বিনিয়োগ ছাড়াও, চীনা কূটনীতিকরা নেপালি রাজনৈতিক নেতাদের সাথে সম্পর্ক তৈরিতে মনোনিবেশ করেছে। এই সপ্তাহে, নেপালে চীনের রাষ্ট্রদূত নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ নেতাদের সাথে বৈঠক করেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, চীন নেপালকে তার বিশাল ট্রান্সকন্টিনেন্টাল অবকাঠামো বেল্ট অ্যান্ড রোড তৈরির উদ্যোগে চাবিকাঠি হিসেবে বিবেচনা করে। নেপালের কৌশলগত ভৌগলিক অবস্থানের কারণেই উভয় দেশই চায় দেশটির রাজনীতিতে প্রভাব খাটাতে।
নেপালের জনপ্রিয় নাগরিক পত্রিকার সম্পাদক গুরানাজ লুইটেল বলেছেন, বর্তমান সরকার চীনের প্রতি আগ্রহ বেশি দেখানোতে ভারতের সাথে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে।