কুমার মাধব :: ২৪ ঘন্টা লাইভ :: ১১ই,ডিসেম্বর :: মালদা :: ভোট যত এগিয়ে বাংলার রাজনৈতিক মহল তত উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।আজ মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ এবং ২ নং ব্লক তৃণমূলের পক্ষ থেকে বঙ্গধ্বনি কর্মসূচি উপলক্ষ্যে একটি বিশাল মিছিল হয়। হরিশ্চন্দ্রপুরের শহীদ মোড় থেকে শুরু হয় এই মিছিল। উপস্থিত ছিলেন মালদা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান,হরিশ্চন্দ্রপুর ১ এবং ২ নং ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মানিক দাস|জেলা পরিষদের শিশু,নারী ও ত্রাণ কর্মাধক্ষ্যা মর্জিনা খাতুন,তৃণমূল নেতা সঞ্জীব গুপ্তা সহ অন্যান্য ব্লক নেতৃত্ববৃন্দ।এই মিছিল থেকেই বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করে তৃণমূল।পাল্টা জবাব দেয় বিজেপিও।
দুয়ারে সরকার কর্মসূচি উপলক্ষ্যে আগামীকাল থেকে হরিশ্চন্দ্রপুরের দুটি ব্লকে তৃণমূল নেতা,কর্মীরা মানুষের ঘরে ঘরে যাবে।সেই কর্মসূচির উদ্বোধন হয় আজকের এই মিছিল থেকে।ভোট সামনে আসছে।তাই নেত্রী মমতা ব্যানার্জির নির্দেশে জনসংযোকে প্রধান হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে তৃণমূল।সেই লক্ষ্যেই চলছে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। আর কর্মসূচি থেকেই গতকাল বিজেপির কেন্দ্রীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে আক্রমণ নিয়ে বিজেপিকেই দুষলেন মালদা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান।
বুলবুল খান বলেন, ” আগামীকাল থেকে আমরা মানুষের ঘরে ঘরে যাব আমাদের সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মসূচি নিয়ে প্রচার করার জন্য। সঙ্গে মানুষের অভাব,অভিযোগ শুনব। আমাদের দ্বারা কি কি হয়নি বা কি করা উচিত সেটা মানুষের মুখেই শুনব।” এদিকে জেপি নাড্ডার কনভয়ে আক্রমণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ” বিজেপি এগুলো ইচ্ছে করে করাচ্ছে।কারোর হাতে তৃণমূলের পতাকা থাকলেই সে যে তৃণমূলের তা তো নয়।যারা সারা দেশকে শোষণ করছে তাদের আমরা মারতে পারব ? বিজেপির রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষকেও পাগল বলে কটাক্ষ করেন তিনি। “কৃষক আন্দোলন নিয়েও খোঁচা দেন কেন্দ্র সরকারকে।
এদিকে বুলবুল খানের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি নেতা রূপেশ আগরওয়ালা বলেন, ” তৃণমূল সারা রাজ্য জুড়ে গণতন্ত্রকে হত্যা করছে। এদের কোনো শিক্ষা,সংস্কৃতি নেই।আদি তৃণমূলীদের আজ এই দলে সম্মান নেই। রাজ্যজুড়ে যেভাবে গুণ্ডারাজ চলছে মানুষ এর জবাব দেবে।বিজেপির উত্থানে ভয় পেয়েছে মমতা।”
উল্লেখ্য,গতকাল ডায়মন্ড হারবার যাওয়ার পথে বিজেপির কেন্দ্রীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে আক্রমণ করা হয়।ভাঙচুর হয় গাড়ি। আর যা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। রাজ্যপাল গতকালই এই ঘটনার নিন্দা করে টুইট করেন।আজ সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।বিজেপির অভিযোগ রাজ্যজুড়ে স্বৈরাচার চালাচ্ছে মমতা।বিজেপি নেতৃত্ব রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদে নেমেছে ।যদিও তৃণমূল তাদের প্রতি উঠা অভিযোগ অস্বীকার করছে।তবে তৃণমূল,বিজেপির এই তরজা যে ভোট যত এগিয়ে আসবে তত বাড়বে সেটা টের পাওয়া যাচ্ছে ভালভাবেই।