মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে গ্রাম্য সালিশিকে কেন্দ্র করে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে হামলা ।

0
199

কুমার মাধব :: ২৪ ঘন্টা লাইভ :: ১লা সেপ্টেম্বর :: মালদহ :: গ্রাম্য সালিশি কে কেন্দ্র করে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে হামলা ভাঙচুর মারধর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটলো মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের মারা ডাঙ্গী গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ গতরাত্রে একটি ট্রাক দুর্ঘটনায় এলাকার বাসিন্দা আহত হন। এর জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ওই এলাকার মানুষেরা। গাড়িটিকে ওই গ্রামের মানুষরা দীর্ঘক্ষন আটকে রাখে।

পার্শ্ববর্তী গ্রাম খোশালপুর এর বাসিন্দারা ওই গাড়িটিকে ছাড়াতে আসলে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এরপরে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সালিশি সভা বসে। সেই সময় জরিমানার টাকা পছন্দ না হয় ফের বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ে ওই গ্রামের বাসিন্দারা।এরপর খোশালপুর গ্রামের বাসিন্দারা মারা ডাঙ্গী গ্রামের নির্বাচিত পঞ্চায়েত মেম্বার সেহেরুনা খাতুন এর বাড়িতে ভাঙচুর চালায় লুটপাট করে এবং অগ্নিসংযোগও করে বলে অভিযোগ। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।

ওই পঞ্চায়েত মেম্বারের স্বামী নুরুল ইসলাম জানান গতকাল সালিশি সভায় টাকার অংক পছন্দ না হওয়াতেই আমার বাড়িতে হামলা চালায় খোশালপুরের বাসিন্দা। আমরা ভয়ে অন্যত্র পালিয়ে যাই। সে সময় বাড়িতে ভাঙচুর চালায় লুটপাট করে এবং তার সঙ্গে সঙ্গে অগ্নিসংযোগ করে তারা। আমি আজ পুলিশে অভিযোগ জানাতে এসেছি। আমরা চাই দোষীদের উপযুক্ত সাজা হোক।

এদিকে খোশালপুর গ্রামের মেম্বার রহানুল হক আমি শুনতে পাই যে মারা ডাঙ্গী এলাকায় একটি ট্রাক দুর্ঘটনা হয়েছে। ওই এলাকার লোকেরা ট্রাকের চাবি এবং মোবাইল ফোন আটকে রেখেছে। আমি এক সিভিক পুলিশ কে নিয়ে গিয়ে স্থানীয় মেম্বার এর কাছ থেকে ওইসব জিনিসও উদ্ধার করি এবং পুলিশের হেফাজতে করে দিই । আমি ওখানে যতক্ষণ ছিলাম তখন কোন গণ্ডগোল হয়নি।

এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা যায় উভয় গ্রামের মেম্বার শাসক দলের। মূলত এই দুই মেম্বারের অনুগামী দের পারস্পরিক বিবাদের কারণে এই গণ্ডগোলের সূত্রপাত।মারা ডাঙ্গী বাসিন্দা নওশাদ আলী জানান গতকাল রাত্রি আটটা নাগাদ খোশালপুরের প্রায় ৩০০ লোক এসে এই গ্রামে হামলা চালায়।এলাকার মানুষদের মারধর করে তারা মেম্বারের বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর চালায় এবং আগুন লাগিয়ে দেয়।আমরা প্রাণ বাঁচাতে এলাকায় ছেড়ে পালিয়ে যাই।একটি ট্রাক দুর্ঘটনা ও সালিশি সভায় কেন্দ্র করে এই গোলমাল এর সূত্রপাত বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে আক্রান্ত মেম্বারের বাড়ির বৌমা রুখসার পারভীন জানান এলাকায় একটি গন্ডগোল কে নিয়ে সালিশি সভা ছিল। সেই সবার মীমাংসা এক পক্ষের পছন্দ না হয় তারাই আমাদের বাড়িতে আক্রমণ চালায় এবং বাড়ি ঘরদোর ভাঙচুর করে এবং আগুন লাগিয়ে দেয়। এ সময় বাড়ীতে কোন পুরুষ মানুষ ছিল না। আমরা ভয়ে লুকিয়ে ছিলাম।

অন্যদিকে খোশালপুরের এক বাসিন্দা তথা ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত আসাদ আলী জানান খোশালপুরের কোন লোকই ওই এলাকায় গন্ডগোল করেনি। মারা ডাঙ্গী লোকেরা নিজেরাই আগুন লাগিয়ে খোশালপুর এর নামে মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করেছে। ওদের অভিযোগ ভিত্তিহীন।
এ প্রসঙ্গে চাঁচল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সজল কান্তি বিশ্বাস জানান দুই পক্ষের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দোষীরা ছাড়া পাবে না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here