কল্যাণ মন্ডল ::২৪ঘন্টা লাইভ ::১৩ই অগাস্ট :: পশ্চিম মেদিনীপুর :: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুশ পুতুল দাহ করার আগেই পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় বিজেপি মহিলা নেত্রীদের সাথে। মেদিনীপুর শহরে জেলা কালেক্টরেট মোড়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে। জেলা বিজেপি মহিলা মোর্চা কনভেনর শম্পা মন্ডল বলেন, মহিলা পুলিশ দিয়ে নয় পুরুষ পুলিশ আধিকারিক ও অন্যান্য কর্মীরা টেনে নিয়ে গিয়েছে। চ্যাংদোলা করে নিয়ে গিয়েছে সাথে মারধর করেছে। কাপড় ছিঁড়ে গিয়েছে। শ্লীলতাহানি করেছে বলে অভিযোগ।
মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুল নিয়ে বিক্ষোভ দেখানোয় পুলিশ তেড়ে আসে বলে অভিযোগ। যদিও শম্পা বলেন, কুশপুতুলটা কোন বিষয় নয়। আসলে পুলিশ ঠিক করে রেখেছিল মারধর করবে। গোটা রাজ্যজুড়ে বিজেপি উপর বেড়ে চলা নির্যাতনের প্রতিবাদে এবার রাস্তায় নামে বিজেপির মহিলা সংগঠন শাখা। এদিন বিজেপির মহিলা নেতা নেতৃত্ব এবং শতাধিক মহিলা কর্মী জেলা কালেক্টরের বিক্ষোভ দেখাতে আসেন
আর পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে আহত ৫-৬ মহিলা কর্মী।আক্রান্ত বিজেপি মহিলা কর্মীরা এরপর বিক্ষোভ দেখালে উত্তপ্ত মেদিনীপুর শহর। ঘটনাক্রমে বলা যায় গোটা রাজ্যের সঙ্গে জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুরে শাসকদল তৃণমূল হাতে আক্রান্ত হচ্ছে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। এরকমই অভিযোগ করেছে বিজেপি। বিগত দিনের মতো প্রতিদিনই ঘর ভাঙচুর লুটপাট বিশেষ দিয়ে থানায় আটকে রাখা হচ্ছে একাধিক অভিযোগ এবং ঘর ভাঙচুর করছে শাসক দল তৃণমূল।
বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালানো হচ্ছে এবং ঘরছাড়া করা হচ্ছে তাদের। শুধু পুরুষ সমর্থক নয় মহিলা সমর্থকদের মারধর করা হচ্ছে ক্রমাগত। সরকারের তরফ থেকে এরকমই অভিযোগ তুলে বারেবারে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বিজেপি। এবার এদিন মহিলারা বিক্ষোভে সামিল হন শতাধিক মহিলারা।
বিজেপি হাজির হয় জেলা কালেক্টরে আইন অমান্য করতে। রাজ্যের সঙ্গে জেলায় কর্মসূচি অনুযায়ী জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর কালেক্টর বিক্ষোভ দেখাতে এসে পুলিশের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভের পাশাপাশি মূলত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুশ পুতুল পুড়াতে গেলে পুলিশ কুশপুতুল কাড়িয়ে নিতে চায়।আর এই কুশপুতুল নিয়ে পুলিশ এবং বিজেপি মহিলার মধ্যে কাড়াকাড়ি শুরু হয়।শেষ পর্যন্ত তা ধস্তাধস্তিতে পরিণত হয়।এরপরই আক্রান্ত মহিলা সমর্থকরা। পরে এক ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট বিক্ষোভরত দের গ্রেপ্তার করে নির্শরত জামিন দেন।