রাজ্য মন্ত্রিসভার বাজেট খসড়া পালটাতে পারেন রাজ্যপাল

0
614

নিজস্ব সংবাদদাতা :: ২৪ ঘণ্টা লাইভ :: ৬ ফেব্রুয়ারি ::  কলকাতা :: রাজ্যের বাজেট অধিবেশনে সরকারের দেওয়া বক্তৃতার খসড়া পালটাতে পারেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্য মন্ত্রিসভার ঠিক করে দেওয়া ওই বক্তৃতার খসড়ার বেশ কয়েকটি জায়গায় বদল চেয়েছিলেন রাজ্যপাল। জানা গিয়েছে, বক্তৃতা আরও কয়েকটি বিষয় যুক্ত করতে আগ্রহী রাজ্যপাল। শুক্রবার ৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যপালের ভাষণের মাধ্যমে রাজ্যের বাজেট অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা।

রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাত জারি। এবার রাজ্যের বেঁধে দেওয়া বাজেট বক্তৃতার খসড়া নিয়ে আপত্তি রাজ্যপালের। তা নিয়েই এখন ঘোর সংশয়ে রাজ্য প্রশাসন। বক্তৃতার খসড়া বদলে শুক্রবার বিধানসভায় রাজ্যপাল কী কী বলবেন তা নিয়েই এখন ধন্দে রাজ্য সরকার। খাস বিধানসভাতেই যদি রাজ্যপাল রাজ্য প্রশাসনের অস্বস্তি বাড়িয়ে কিছু বলেন, তবে তা নিয়ে বিধানসভার অন্দরে যে রাজ্যকে চেপে ধরতে চেষ্টার কসুর করবে না বিরোধীরা, তা বিলক্ষণ জানে সরকার-পক্ষ। সেই কারণেই গত কয়েকদিন ধরেই রাজভবন-দরবার করেছেন মন্ত্রীরা।

পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র পর্যন্ত পালা করে দেখা করেছএন রাজ্যপালের সঙ্গে। ধনখড়ের মান ভাঙাতে একাধিক তৎপরতা নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। বৃহস্পতিবার শান্তিনিকতেন একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চেয়ে রাজ্য সরকারের কাছে কপ্টার চেয়েছিল রাজভবন। তড়িঘড়ি সেই কপ্টার দেওয়া হয়েছে রাজভবনকে। রাজ্যের পাঠানো কপ্টারে চড়েই শান্তিনিকতনে যান রাজ্যপাল।

তবে জানা গিয়েছে রাজ্যের দেওয়া বাজেট খসড়ায় কিছু বদল আনার পরই শুক্রবার বিধানসভায় তা পাঠ করবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন, রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালের মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব থাকা উচিত নয়। উভয়পক্ষেরই একে অন্যের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সহমত হওয়া প্রয়োজন।
রাজ্যের পাঠানো বাজেট বক্তৃতার কপি প্রসঙ্গে রাজ্যপাল বলেন, ‘৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের শুরুতে রাজ্যপালের বক্তৃতা দেওয়ার কথা। রাজ্যের পাঠানো খসড়া আমার বিবেচনাধীন। প্রয়োজনে সেখানে কিছু সংযোজন বা বিয়োজন করতে পারি।’

রাজ্যপালের এই বার্তা থেকেই স্পষ্ট যে শুক্রবারের বাজেট ভাষণ নিজের নিয়মেই দিতে চলেছেন জগদীপ ধনখড়। তবে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, রাজ্য প্যাঁচে পড়তে পারে এমন কিছু অন্তত বিধানসভার অন্দরে দাঁড়িয়ে বলবেন না রাজ্যপাল। তবে তাঁর কথায় রাজ্যকে বিঁধে যে টিপ্পনি থাকবে, তা আগাম আঁচ করছে রাজনৈতিক মহলেরই একাংশ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here