রাজেন্দ্র নাথ দত্ত :: ২৪ ঘন্টা লাইভ :: ১৫ই,জুলাই :: :মুর্শিদাবাদ :: গবেষকই হোন বা ছাত্র, কিংবা নেহাতই উৎসাহী পর্যটক, গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে সেই ইতিহাসের সাক্ষী হওয়ার সুযোগটুকু পাবেন সবাই। হাত বাড়ালেই নথিচাপা ইতিহাস। দেখে শুনে নাড়াচাড়া করা চললেও তা নিয়ে আলোচনা আর করা একদম চলবে না।কিন্তু তা নিয়ে কথা বলা বিলকুল মানা। করোনা সংক্রমণ এড়াতে হাজারদুয়ারি মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ জারি করল এমনই ফরমান।
জানিয়ে দেওয়া হল, এখন থেকে মিউজিয়ামের গ্যালারির ভিতর প্রবেশ করে কোনও কথা বলা যাবে না।এই নিষেধাজ্ঞায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলার ইতিহাসবিদ থেকে শুরু করে বিশিষ্টজনরাও।হাজার দুয়ারির দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি সুপারিন্টেডেন্ট অফ আরকিওলজিস্ট গৌতম হালদার বলেন ,“করোনা সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পেতে মিউজিয়ামের গ্যালারিতে কথা বলা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, হাজারদুয়ারি চত্বরে মিউজিয়াম দর্শনের আগে এবং পরে ঘোরাঘুরি করতেও দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়।এবার জারি হল নতুন বিধিনিষেধ।
সেই নিষেধের বেড়াজালে এখন থেকে মিউজিয়ামের গ্যালারিতে প্রবেশ করে কোনও পর্যটক নিজেদের মধ্যে কথা পর্যন্ত বলতে পারবেন না। এতেই ক্ষোভ জমেছে জেলার ইতিহাস সচেতন নাগরিকদের মধ্যে। জেলার বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ দত্ত বলেন ”হাজারদুয়ারির গ্যালারি ইতিহাসের ভাণ্ডার। ওই গ্যালারি ইতিহাস গবেষক তো বটেই সাধারণ পর্যটক এবং যেকোনও বয়সের পড়ুয়াদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় কেন্দ্র। ফলে গবেষকের পাশাপাশি যে কোনও ধরনের পর্যটক গ্যালারিতে প্রবেশ করে নিজেদের মধ্যে ইতিহাস জ্ঞানের আদান প্রদান করবেন, এটাই স্বাভাবিক। এই বিধি নিষেধ শিথিল করা জরুরী।