১৫ই,আগস্টের মধ্যে করোনার টিকা আসছেনা – ভোল বদল মোদী সরকারের !

0
367

আনন্দ মুখোপাধ্যায় :: ২৪ ঘন্টা লাইভ :: ৭ই,জুলাই :: ১৫ আগস্টের মধ্যে করোনা টীকা বাজারে আনার বিষয়ে এবার অবস্থান স্পষ্ট করল কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান মন্ত্রণালয়। জানাল, ২০২১-এর আগে কোনো টিকা বাজারে আসছে না।

শনিবার ডেডলাইন প্রসঙ্গে ভোল বদল করে বিবৃতি দিয়েছিল আইসিএমআর। এবার সক্রিয় হলো সরকার। রোববার দুপুরে বিবৃতি দিয়ে তারা জানিয়েছে, মোট ছয়টি ভারতীয় সংস্থা ভ্যাকসিন তৈরির কাজে যুক্ত। তার মধ্যে কোভ্যাক্সিন আর জাইকোভ-ডি তৈরি। বিশ্বে মোট ১৪০টি ভ্যাকসিন তৈরির দাবি উঠেছে। মাত্র ১১টি টিকা হিউম্যান ট্রায়ালে আছে। কোনোটাই আগামী বছরের আগে বাজারে আসছে না।

মন্ত্রণালয়টি আরো জানিয়েছে, ব্রিটিশ সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা আর ইউএস সংস্থা মডার্না উৎপাদন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এরা ভারতীয় সংস্থার সাথে যৌথভাবে টিকা উৎপাদন করবে।

আইসিএমআর শনিবার বিবৃতিতে জানিয়েছিল, বায়োটেক ইন্ডিয়ার সাথে যৌথ গবেষণায় আবিষ্কার করা গেছে করোনার টিকা কোভ্যাক্সিন। এই দাবিকে প্রতিষ্ঠিত করতে কোভ্যাক্সিনের হিউম্যান ট্রায়ালে সবুজ সংকেত দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোল অফ ইন্ডিয়া। আগামী ১৫ আগস্টের মধ্যে এই ট্রায়াল শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছে আইসিএমআর। কেন্দ্রীয় এই সংস্থার এমন নির্দেশ ঘিরে দেশজুড়ে শুরু হয় হৈচৈ। তাড়াহুড়োয় করোনার টিকা বাজারে ছাড়তে গিয়ে আপস করা হচ্ছে মানবদেহের স্বার্থে। যেখানে হিউম্যান ট্রায়াল একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া।

আবিষ্কারের পর বাজারে ড্রাগ হিসেবে বাজারে আসতে নয় মাস সময় লাগে। সেখানে পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে কীভাবে বাজারে আসবে এই ভ্যাকসিন? এই প্রশ্ন তুলেছেন ড্রাগ বিশেষজ্ঞরা। সেই প্রশ্নের জবাবেই এইদিন আইসিএমআর বিবৃতি দিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এমনটাই জানা গেছে।সংস্থার ডিজি বলরাম ভার্গবের সই করা এক বিবৃতিতে লেখা ছিল, দেশের ১২টি হাসপাতাল ফাস্টট্র্যাকের ভিত্তিতে কোভ্যাক্সিনের হিউম্যান ট্রায়াল সম্পন্ন করবে।

শনিবার সেই বিবৃতির সপক্ষে আইসিএমআর জানিয়েছে, ডিজির চিঠির অর্থ হল লাল ফিতের ফাঁসে যাতে হিউম্যান ট্রায়াল আটকে না থাকে। অযথা যাতে পদ্ধতিকে বাইপাস করা না হয়। এবং যত বেশি সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয় সেটা নিশ্চিত করা।

তাদের দাবি, ‘বিশ্ব টিকা বিধি অনুসরণ করেই কাজ করে আইসিএমআর। যেখানে মানবদেহে এবং প্রাণীদেহে ভ্যাকসিন ট্রায়াল সমান্তরালভাবে চলবে। সর্বস্ব প্রচেষ্টা দিয়ে এই ট্রায়াল চলবে। আর নিয়মিত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে। এর জন্য ডেটা সেফটি মনিটরিং বোর্ডকে সক্রিয় করা হবে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here