নিজস্ব সংবাদদাতা :: ২৪ ঘন্টা লাইভ :: ৬ ফেব্রুয়ারি :: কলকাতা :: বাংলা থিয়েটারে ক্যাবারের রানী মিস শেফালি চলে গেলেন ৭৬ বছর বয়সে। দীর্ঘদিন ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। তারপর ভর্তি হন দক্ষিণ কলকাতার এক হাসপাতালে। তাঁর মৃত্যুতে একটি যুগের অবসান হল। মিস শেফালির প্রকৃত নাম আরতি দাস। ষাট-সত্তরের কলকাতায় রাতের রানি শেফালির জীবন নিয়ে বইও বেরিয়েছে, ‘সন্ধ্যা রাতের শেফালি’। তাঁর পায়ের ছন্দ, শরীরী ভঙ্গিমায় মেতে থাকত সাহেবি পার্ক স্ট্রিট। তাঁর অনুরাগী তালিকা রীতিমতো ঈর্ষণীয়। কে ছিল না। সত্যজিৎ রায়, উত্তম কুমার, সুচিত্রা সেন থেকে অমিতাভ বচ্চন। সেই মিস শেফালি আজ ভোরে প্রয়াত হলেন। সোদপুরে নিজ বাসভবনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পরলোকে গেলেন কলকাতার ক্যাবারে কুইন। ক্যাবারে দুনিয়ায় পা রেখে মিস শেফালি হয়ে ওঠেন। মিস শেফালির অ্যালবামেও আছে পুরনো ছবি।
বিশ্বরূপা থিয়েটারে চৌরঙ্গি নাটকের সহস্র রজনীর অভিনয়ের গ্রুপ ছবিতে সহাস্য মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়। চৌরঙ্গি নাটকে ক্যাবারে ডান্সার কনি-র চরিত্রে অভিনয় করেই মধ্যবিত্ত গেরস্থের ঘরে হইচই ফেলেছিলেন মিস শেফালি। বাংলা থিয়েটারে ক্যাবারের সেই থেকে শুরু। ষাট-সত্তরের কলকাতায় রাতের রানি শেফালির জীবন নিয়ে বইও বেরিয়েছে, ‘সন্ধ্যা রাতের শেফালি’। তবে সহজ ছিল না তার চলার পথ। ৬ মাস বয়সে বাবা-মার সঙ্গে পূর্ববঙ্গ থেকে এপারে এসেছিলেন। শৈশব কেটেছিল অবর্ণনীয় দুঃখকষ্টে। মাত্র ১১ বছর বয়সে চৌরঙ্গীর এক অ্যাংলো পরিবারে কাজ শুরু করেন।
প্রতি সন্ধ্যায় সেখানে পার্টি বসত, তখন থেকে নাচের আগ্রহ শেফালীর। ওই পরিবারেরই এক বন্ধুর সাহায্যে পার্ক স্ট্রিট ফার্পোয় প্রথম নাচের সুযোগ।তারপরে অভিনয় জগতে পা রাখা। সত্যজিৎ রায়ের সীমাবদ্ধ ও প্রতিদ্বন্দ্বীতে অভিনয় করেছেন। আরও বেশ কয়েকটি বাংলা ও হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেন। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সরে যেতে বাধ্য হন পেশা থেকে।