রামকৃষ্ণ পাল ::২৪ঘন্টা লাইভ ::৫ই জুলাই :: ঝাড়গ্রাম :: করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এখনো সমগ্র দেশ জুড়ে বিরাজমান। সেই স্রোতে তাল মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গ পিছিয়ে নেই , পাশাপাশি জঙ্গলমহল তথা অরণ্য সুন্দরী ঝাড়গ্রাম এর অবস্থা আরো করুন। লকডাউনে কাজ হারিয়েছেন অনেকেই। কেউবা নিজস্ব ব্যবসা শুরু করতে গিয়ে ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে নাজেহাল । বাস মালিকরা আগেই বলেছেন লকডাউনে তাদের সিভিল স্কোর ক্রমাগতই নিচের দিকে গেছে ।
একই সাথে ফুলচাষীরা পিছিয়ে নেই এদিক থেকে। ঝাড়গ্রাম জেলা এর বেলপাহাড়ি ও তার পাশাপাশি বিস্তীর্ণ এলাকা ফুল চাষের উপর নির্ভরশীল । কিন্তু ফুলের বাজার ঝাড়গাম শহরের না থাকায় তাদের প্রতিদিন ফুল তুলে নষ্ট করতে হচ্ছে। প্রসঙ্গত লকডাউন এর ফলে বন্ধ বাস-ট্রেন সহ-সাধারণ যানবাহন , এতেই নাজেহাল ফুল চাষিরা ।পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে সবচেয়ে বড় ফুলের মার্কেট কোলাঘাট । ঝাড়গ্রাম থেকে কোলাঘাটের দুরত্ব ও অনেক ।
কম খরচে যাতায়াতের জন্য মানুষকে নির্ভর থাকতে হয় লোকাল ট্রেনের ওপর । লকডাউন এর জেরে তাও আজ বন্ধ, দিশেহারা হয়ে পড়েছেন প্রত্যন্ত এলাকার চাষীরা। ফুল বাগানের মালিক এর কাছে তাদের বর্তমান অবস্থা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বাগানের কর্মীদের বেতন দেওয়া আমার পক্ষে খুবই মুশকিল হয়ে উঠেছে । ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে চাষ শুরু করেছিলাম, এরপরে বছরখানেক ভালো ব্যবসা হলেও বর্তমানে তা একই বারেই বন্ধ । ব্যাংকের লোন শোধ করতে পারছিনা ,কর্মীদের বেতন দিতে পারছিনা , বাগানের ফুল তুলে বাগানে নষ্ট করতে হচ্ছে ।
বাগানের ম্যানেজার এর কথায় সত্যি মালিকের অবস্থা খুবই করুন ।আমরাও মালিককে যদি বেতন চাইতে পারছিনা , মালিক নিজের বাড়ি থেকে কত টাকা লাগাবেন ? ম্যানেজার আরও জানান একটা সময় ছিল যখন বাগান থেকে ফুল তুলে বাজারে বিক্রি করে একটা টাকার মুখ দেখা যেত । কিন্তু কালের স্রোতে কোথায় যেন হারিয়ে গেছে সেই সোনার দিনগুলি । আজ তাদের বাগানে 7-8 ধরনের ফুল উৎপন্ন হলেও বাগানের ফুল বাগানে নষ্ট করতে হচ্ছে ।
প্রতি ফুল ৭টাকা থেকে ১০টাকা করে এক সময় বিক্রি হলেও আজ সেই দিন আর নাই।ঝারগ্রাম জেলাতে ফুলের চাহিদা ও খুবই সামান্য। লকডাউন এর জেরে বন্দ সকল আনন্দানুষ্ঠান। আর এই সময় ফুলই বা কিনবে কে ?
এই করুন চিত্র শুধু ঝাড়গাম জেলা জুড়েই নয়, পশ্চিমবঙ্গে প্রত্যন্ত এলাকায় গ্রামে গ্রামে গেলে একই চিত্র চোখের সামনে ভেসে উঠছে বারাংবার। করোনার জেরে অনেকে হারিয়েছেন তার প্রিয়জনকে, কেউবা হারিয়েছেন তার কাজ আর কেউবা এখনো হারিয়ে চলেছেন তার নিজস্ব সর্বস্ব । এই মহামারী সমগ্র বিশ্ব জুড়ে তার করালগ্রাসে যেন এক কণ্ঠরুদ্ধ পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে ।
কবে এই মহামারী থেকে সাধারণ মানুষ পরিত্রাণ পাবে তারই পথ চেয়ে সমগ্র বিশ্ববাসী।মহল তথা অরণ্য সুন্দরী ঝাড়গ্রাম এর অবস্থা আরো করুন। লকডাউনে কাজ হারিয়েছেন অনেকেই। কেউবা নিজস্ব ব্যবসা শুরু করতে গিয়ে ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে নাজেহাল । বাস মালিকরা আগেই বলেছেন লকডাউনে তাদের সিভিল স্কোর ক্রমাগতই নিচের দিকে গেছে ।একই সাথে ফুলচাষীরা পিছিয়ে নেই এদিক থেকে। ঝাড়গ্রাম জেলা এর বেলপাহাড়ি ও তার পাশাপাশি বিস্তীর্ণ এলাকা ফুল চাষের উপর নির্ভরশীল । কিন্তু ফুলের বাজার ঝাড়গাম শহরের না থাকায় তাদের প্রতিদিন ফুল তুলে নষ্ট করতে হচ্ছে। প্রসঙ্গত লকডাউন এর ফলে বন্ধ বাস-ট্রেন সহ-সাধারণ যানবাহন , এতেই নাজেহাল ফুল চাষিরা ।পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে সবচেয়ে বড় ফুলের মার্কেট কোলাঘাট ।
ঝাড়গ্রাম থেকে কোলাঘাটের দুরত্ব ও অনেক । কম খরচে যাতায়াতের জন্য মানুষকে নির্ভর থাকতে হয় লোকাল ট্রেনের ওপর । লকডাউন এর জেরে তাও আজ বন্ধ, দিশেহারা হয়ে পড়েছেন প্রত্যন্ত এলাকার চাষীরা। ফুল বাগানের মালিক এর কাছে তাদের বর্তমান অবস্থা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বাগানের কর্মীদের বেতন দেওয়া আমার পক্ষে খুবই মুশকিল হয়ে উঠেছে ।
ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে চাষ শুরু করেছিলাম, এরপরে বছরখানেক ভালো ব্যবসা হলেও বর্তমানে তা একই বারেই বন্ধ । ব্যাংকের লোন শোধ করতে পারছিনা ,কর্মীদের বেতন দিতে পারছিনা , বাগানের ফুল তুলে বাগানে নষ্ট করতে হচ্ছে ।বাগানের ম্যানেজার এর কথায় সত্যি মালিকের অবস্থা খুবই করুন ।আমরাও মালিককে যদি বেতন চাইতে পারছিনা , মালিক নিজের বাড়ি থেকে কত টাকা লাগাবেন ? ম্যানেজার আরও জানান একটা সময় ছিল যখন বাগান থেকে ফুল তুলে বাজারে বিক্রি করে একটা টাকার মুখ দেখা যেত । কিন্তু কালের স্রোতে কোথায় যেন হারিয়ে গেছে সেই সোনার দিনগুলি ।
আজ তাদের বাগানে 7-8 ধরনের ফুল উৎপন্ন হলেও বাগানের ফুল বাগানে নষ্ট করতে হচ্ছে ।প্রতি ফুল ৭টাকা থেকে ১০টাকা করে এক সময় বিক্রি হলেও আজ সেই দিন আর নাই।ঝারগ্রাম জেলাতে ফুলের চাহিদা ও খুবই সামান্য। লকডাউন এর জেরে বন্দ সকল আনন্দানুষ্ঠান। আর এই সময় ফুলই বা কিনবে কে ?
এই করুন চিত্র শুধু ঝাড়গাম জেলা জুড়েই নয়, পশ্চিমবঙ্গে প্রত্যন্ত এলাকায় গ্রামে গ্রামে গেলে একই চিত্র চোখের সামনে ভেসে উঠছে বারাংবার। করোনার জেরে অনেকে হারিয়েছেন তার প্রিয়জনকে, কেউবা হারিয়েছেন তার কাজ আর কেউবা এখনো হারিয়ে চলেছেন তার নিজস্ব সর্বস্ব । এই মহামারী সমগ্র বিশ্ব জুড়ে তার করালগ্রাসে যেন এক কণ্ঠরুদ্ধ পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে । কবে এই মহামারী থেকে সাধারণ মানুষ পরিত্রাণ পাবে তারই পথ চেয়ে সমগ্র বিশ্ববাসী।