BREAKING NEWS :: জাতির সংকটে সংকল্প আর সংযমের আবেদন করলেন নরেন্দ্র মোদী – রবিবার জনতা কারফিউ এর আবেদন ভারতবাসীর কাছে

0
523

আনন্দ মুখোপাধ্যায় :: ২৪ ঘন্টা লাইভ :: ১৯শে, মার্চ :: নয়াদিল্লি :: করোনা মোকাবিলায় ভারতজুড়ে একদিনের জনতা কারফিউ পালনের ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । ‘রোবিবার সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সারা দেশবাসীকে জনতা কারফিউ পালন করতে হবে। এ সময় কেউ বাড়ি থেকে বেরোবেন না। নিজেদের বাড়িতে থাকবেন। জনগণের জন্য জনতা কারফিউ। রোববার সকালে সাইরেন বাজিয়ে জনতা কারফিউর সূচনা করুক রাজ্যসরকার ।’ জাতির উদ্দেশে ভাষণে বৃহস্পতিবার এইপরামর্শই দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

মোদী আরো বলেন, ‘আপনারা যদি ভাবেন আপনি করোনা আক্রান্ত হবেন না, তাই সব জায়গায় ঘুরে বেড়াবেন, তা উচিত হবেনা । আপনি নিজে বিপদ ডেকে আনছেন। এই ক’টা দিন বাড়ির বাইরে বেরোবেন না। বাড়িতে থেকে প্রয়োজনীয় কাজ করুন। ভিড়ভাট্টা এড়িয়ে চলুন। অফিসের কাজ বাড়িতেই করুন’।

করোনা আতঙ্কে কাঁপছে সারা বিশ্ব। এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বললেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের থেকেও ভয়াবহ পরিস্থিতি। মানব সভ্যতা এক ভয়ংকর সঙ্কটে। কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি আমরা’। মোদী আরো বলেন,‘আপনাদের কাছে কিছু সময় চাইছি। এখন সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। সকলকে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে’।এদিকে, ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৭৩। এখনও পর্যন্ত এ দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৪। এহেন অবস্থায় রাজ্যে জনসমাগম আটকাতে ২১ মার্চ অর্থাৎ শনিবার থেকে গণপরিবহণ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিল পাঞ্জাব সরকার।এদিকে বিশ্বের এই দুঃসময়ে তাঁর মহামূল্যবান উপদেশ নিয়ে এগিয়ে এসেছেন বিশিষ্ট চিকিৎসক দোঃ দেবী শেঠি । তিনি জানিয়েছেন বিশ্বব্যাপী মহাবিপর্যয় নামিয়ে এনেছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। এরই মধ্যে বিশ্বের ১৭২টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। ইতোমধ্যে আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ১৩ হাজার ৫৫৭ মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ৭৯১ জনের। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস সংক্রমণের আতঙ্কে ভুগছে বিশ্ববাসী।

করোনাভাইরাসের অন্যতম একটি উপসর্গ হচ্ছে জ্বর। কিন্তু জ্বর হলেই করোনাভাইরাসের পরীক্ষা না-করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী শেঠী। তার মতে, অতিরিক্ত পরীক্ষা ভবিষ্যতে বিপদ বাড়াবে। কেননা চাহিদার তুলনায় করোনা পরীক্ষার কিট অপ্রতুল।ডা. দেবী শেঠীর মতে, “যদি কারও ফ্লু বা সর্দি থাকে, প্রথমে নিজেকে আইসোলেশন করে লক্ষণ ভালো করে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। প্রথম দিন শুধু ক্লান্তি আসবে। তৃতীয় দিন হালকা জ্বর অনুভব হবে। সঙ্গে কাশি ও গলায় সমস্যা হবে। পঞ্চম দিন পর্যন্ত মাথায় যন্ত্রণা হবে। পেটের সমস্যাও হতে পারে। ষষ্ঠ বা সপ্তম দিনে শরীরে ব্যথা বাড়বে এবং মাথার যন্ত্রণা কমতে থাকবে। তবে পেটের সমস্যা থেকেই যাবে। অষ্টম ও নবম দিনে সব লক্ষণই চলে যাবে। তবে সর্দির প্রভাব বাড়তে থাকে। এর অর্থ আপনার প্রতিরোধক্ষমতা বেড়েছে এবং আপনার করোনা-আশঙ্কা নেই।”
এই চিকিৎসক বলেছেন, ‘এসব ক্ষেত্রে আপনার করোনা পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। কারণ শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গেছে। তবে যদি অষ্টম বা নবম দিনে আপনার শরীর আরও খারাপ হয়, করোনা-হেল্পলাইনে ফোন করে অবশ্যই পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে |

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here