আনন্দ মুখোপাধ্যায় :: ২৪ ঘণ্টা লাইভ :: ১৪ই, নভেম্বর :: কোলকাতা :: অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে । গত বুধবার সৌমিত্রর শ্বাসনালিতে অস্ত্রোপচার (ট্র্যাকিয়োস্টমি) হয়েছিল। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ প্রথম বারের জন্য তাঁকে প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই থেরাপি প্রয়োগের পর বাহ্যিক ভাবে তাঁর রক্তক্ষরণ হয়নি। যকৃৎ অবশ্য কাজ করছে। সৌমিত্রর স্নায়ুর সমস্যা কাটাতে পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে নিউরোলজি বোর্ডেরও।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এর চেতনাস্তর পাঁচে নেমে এসেছে। এই স্তর তিন পর্যন্ত নেমে গেলেই ব্রেন ডেথ হিসেবে মেনে নেওয়া হয়। দীপাবলির ঠিক আগেরদিনই বেলভিউ হাসপাতালের পক্ষ থেকে এই খবর জানালেন ডা. অরিন্দম কর। বৃহস্পতিবারই আবার তাঁর প্রথম পর্যায়ের প্লাজমাফেরেসিস সম্পন্ন হয়। আশা করা হয়েছিল প্লাজমাফেরেসিসের পর অভিনেতার আচ্ছন্নভাব ও অসংলগ্নতা অনেকটাই কেটে যাবে। কিন্তু শুক্রবার তার কিছুই হল না।
ডা. কর জানান, এর আগে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যারের চেতনাস্তর ৯ থেকে ১০-এর মধ্যে ছিল। আচমকা তা কেন নেমে গেল তা বোঝা যাচ্ছে না। অভিনেতার হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিকের থেকে অনেক বেশি। কিডনির অবস্থাও ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে। EEG ও সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। কিন্তু তাতে কোনও অস্বাভাবিকতার লক্ষণ দেখা যায়নি। তিনি এখন ভেন্টিলেশনে রয়েছেন। বাড়াতে হয়েছে অক্সিজেনার মাত্রাও। কিডনির সমস্যার কারণে বেশ কয়েকবার ডায়ালেসিস করতে হয়েছে।
ডা. অরিন্দম করের কথায়, চিকিৎসক টিমের পক্ষ থেকে ‘বেস্ট পসিবল এফোর্ট’ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আচমকা অভিনেতার শারীরিক অবস্থা কেন এতটা খারাপ হয়ে গেল, তা বোঝা যাচ্ছে না। যতদিন ধরে হাসপাতালে কিংবদন্তি অভিনেতা ভরতি রয়েছেন শুক্রবার তাঁর পক্ষে সবচেয়ে খারাপ দিন। এখন অলৌকিক কিছু ঘটার আশায় রয়েছেন চিকিৎসকরাও।