২৪ঘণ্টা লাইভ সংবাদদাতা/ রাজিব গুপ্তা/ পয়লা এপ্রিল ২০২৩: এপ্রিল ফুল একটি এমন সৌজন্য মূলক উৎসব যেখানে সকলে নিজেদের খুব প্রিয়জন দের প্রথমে বোকা বানায় আর তার পর প্রমাণ করে দেন জে এটি একটি মজা ছিলো, বাস্তবের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই জার ।
ঠিক একই ভাবে দেখা যাচ্ছে বীজপুর জুড়ে চলছিল এমন ই এক প্রবাদ যেখানে বোঝানোর চেষ্টা চলছিল যে পুরানো দিনের কর্মীদের মান্যতা বা সম্মান দিচ্ছেন না বীজপুরে দাইত্বপ্রাপ্ত নেতা সুবোধ বা কমল অধিকারী ।
শুধু তাই নয়, এখানে কোনো কাজ ও করছেন না তারা বলে রটানো হচ্ছিল দলের কিছু নেতাদের দ্বারা ।
প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী ক্ষমতা বা পদ চিরস্থায়ী হয় না আর নব্য প্রজন্ম কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দাইত্ব থেকে যায় বর্তমান নেতাদের ।
সে অনুযায়ী কিছু পুরানো কিছু নেতা বাদ চলে যান গতবছর পৌর নির্বাচনে টিকিট থেকে । আর কেউ টিকিট পেলেও হয় তো পান নি ইচ্ছে অনুরূপ পদ । কিন্তু নতুন অনেকেই সুযোগ ও পেয়েছেন এটাও মানতে হবে ।
তবে এতে দেখা যায় অনেকেই রুষ্ট হয় পড়লেন । তাদের বিভ্রান্ত করে মগজ ধোলাই ও করে ফেলা হয় । প্রসঙ্গত সবাই কে নিয়ে চলার অঙ্গীকার করলেও, বাস্তব সত্য হলো যে সকল কে তো আবার একসাথে খুশিও করা সম্ভব হয় না ।
এই কথা মাথায় রেখে বিন্দু মাত্র বিচলিত হলেন না কমল ও সুবোধ । হাসি মুখেই সবার বিস্ফোট সহ্য করে গেলেন, যার পরিণতি সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে রুষ্ট বা বিপ্লবী হয় যাওয়া সে সকল নেতা কর্মীরা পুনরায় কাছে চলে আসছেন কমল অধিকারীর ।
যেমন বসন্ত উৎসবে যে ভাবে নিজেই উপস্থিত হয়ে কমলের সাথে আবির খেললেন হালিশহর ৪ নাং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মৃত্যুঞ্জয় দাস তাতে বদলে যায় বিরোধী গোষ্ঠীর আবহাওয়া । এর পর নিজের ওয়ার্ডে কাঁচরাপাড়া পৌর প্রধান কমল অধিকারী কে আনুষ্ঠানিক ভাবে সম্বর্ধনা দিলেন মৃত্যুঞ্জয় দাস ।
এর পর বিরোধী গোষ্ঠী রাজু সাহানি কে নিয়ে তোলেন আওয়াজ তবে সুবোধ অধিকারী তার রাজনৈতিক পথ প্রদর্শক বলে সাফ জানিয়ে দিলেন রাজু । এমন কি ধীরে ধীরে কমলের সাথে বিভিন্ন মঞ্চ বা অনুষ্ঠানে এক সাথে দেখা যাচ্ছেন কমল ও রাজু এমন কি প্রতিনিয়ত মঙ্গলদিপে যোগাযোগ রাখছেন রাজু ।
এর পর শ্রমিক নেতা প্রদীপ পুরি কে দেখা গেলো রাম নবমী থেকে ওয়ার্ড অফিসের উদ্বোধনে এক মঞ্চে এক সাথে, আর শুক্রবার তো দেখা গেলো এক থালা তে বোঁদে খেতে এই দুই প্রবীণ ও নবীন নেতাকে ।
এতে স্পষ্ট যে এক দ্বিতীয়র মাঝের দূরত্ব এখন পতনের দিকে । তিনিও মেনে নিচ্ছেন কমল ও সুবোধ নবীন ও প্রবিনে কোনো ভেদাভেদ রাখেন না ।
দীর্ঘদিন তৃণমূলের রাজনীতি করা এক স্থানীয় নেতা বললেন সকল কে সম্মান করেন অধিকারী বন্ধুরা, আর যারা গুজব রটাতে ব্যস্ত তাদের উদ্যেশ্য দলে শুধু ভেদাভেদ তৈরি করে কর্মীদের কে এপ্রিল ফুল বানানো বলে মনে হচ্ছে ।