অস্থায়ী কর্মীদের আন্দোলনের জেরে ফের উত্তাল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়।

0
587

নিজস্ব সংবাদদাতা :: ২৪ ঘণ্টা লাইভ :: ৫ ম ফেব্রুয়ারি :: মালদহ :: অস্থায়ী কর্মীদের আন্দোলনের জেরে সোমবার থেকে ফের উত্তাল হয়ে উঠল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। রাতভর ঘেরাও হয়ে থাকলেন ডেপুটি কন্ট্রোলার বিনয় হালদার। মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন গেটের সামনে তালা ঝুলিয়ে সারাদিন ধরে চলে ১২২ জন অস্থায়ী কর্মীদের বিক্ষোভ, আন্দোলন।

যদিও পঠন-পাঠনের ক্ষেত্রে তেমন কোনও প্রভাব পড়েনি বলে দাবি ছাত্র-ছাত্রী থেকে শিক্ষকদের। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সরস্বতী পূজার পর সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের খুলতেই শুরু হয়ে যায় ১২২ জন অস্থায়ী কর্মীদের বিক্ষোভ, আন্দোলন। এমনিতেই গত দুই মাসের ওপর উপাচার্যহীন হয়ে রয়েছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়।

কেন এই বিক্ষোভ, আন্দোলন? এই প্রশ্নের উত্তরে সারাবাংলা তৃণমূল শিক্ষা বন্ধু সমিতির গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিট সভাপতি শুভায়ু দাস বলেন, ”আমাদের দশ দফা দাবি মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অস্থায়ী রেজিস্টার বিপ্লব গিরি। কিন্তু ২৪ জানুয়ারি গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে প্রধান দাবি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। যে দাবির মধ্যে ছিল অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণ এবং বেতন বৃদ্ধি ও সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সুযোগ-সুবিধা দেওয়া। ২৪ জানুয়ারী এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের মিটিং হয় কলকাতায়। আমাদের পাঁচ সদস্যকে সেই মিটিংয়ে ডাকা হয়েছিল। মিটিং ডেকে আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন রেজিস্টার। এরপরই সিদ্ধান্ত হয় বিশ্ববিদ্যালয় খুললে আমাদের আন্দোলন শুরু হবে।”

শুভায়ু দাস আরও বলেন, ”সেইমতো সোমবার থেকে শুরু হয় আন্দোলন। সোমবার যেহেতু রেজিস্টার বিশ্ববিদ্যালয় আসেননি। সেই কারণে, ডেপুটি কন্ট্রোলার বিনয় হালদারকে ঘেরাও করে রাখি। সেই ঘেরাও চলছে।”

এদিন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় মেন গেটের সামনে সারাদিন ধরে চলে অস্থায়ী কর্মীদের বিক্ষোভ। এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সদস্যরা এলে তাদেরকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারীরা। সারাবাংলা তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতির গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিট সভাপতি শুভায়ু দাস বলেন, আমরা রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করেই এই আন্দোলন করছি। পঠন-পাঠনের ক্ষেত্রে এর কোনও প্রভাব পড়েনি। মেইন গেট বন্ধ থাকলেও পাশের একটি গেট খোলা ছিল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here