নরেশ ভকত :: ২৪ ঘন্টা লাইভ :: ১৬ই,নভেম্বর :: বাঁকুড়া :: কালীপুজোর রেশ কাটেনি এখনো, তার মধ্যেই গোটা শহর মেতে উঠবে দেব সেনাপতির আরাধনায়।উল্লেখ্য, এই সোনামুখী শহরে প্রায় শ’খানেক কার্তিক পুজো হয়ে থাকে। উল্লেখযোগ্য পূজো গুলির মধ্যে মাইত কার্তিক বা মধ্যম কার্তিক , বড়ো কার্তিক , মহিষঘোট কার্তিক । এর মধ্যে বেশকিছু কার্তিকের প্রাচীন ইতিহাস রয়েছে। সোনামুখী পৌরসভার 11 নম্বর ওয়ার্ডের অন্যতম পূজো হল মহিষঘোট কার্তিক ।
লোকশ্রুতি অনুযায়ী, একটা সময় 11 নম্বর ওয়ার্ড এলাকা জঙ্গলে পরিপূর্ণ ছিল এবং এখানে মহিষের বাতান ছিল । বাগালরা এই এলাকায় মহিষ চরাতেন আনুমানিক সাড়ে চারশ বছর আগে তারাই প্রথম এই মহিষঘোট কার্তিক পূজার সূচনা করেছিলেন সেই থেকে এই কার্তিঁকের নাম হয় মহিষঘোট কার্তিক ।
তবে অন্যান্য বছর যে ভাবে কার্তিক পুজো হয়ে থাকে এবছর তা আর হচ্ছে না সৌজন্যে নোবেল করোনাভাইরাস । মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে সোনামুখীর সমস্ত পুজো কমিটি তাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কাটছাঁট করেছেন । তাছাড়া এবার হচ্ছে না কালীপুজোর মতই কার্তিক কার্নিভালও । প্রতিবছর সোনামুখী চৌমাথায় 17 টি কার্তিক একত্রিত হয়ে বাজি পোড়ানোতে অংশগ্রহণ করেন কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশে এবার তা সম্পূর্ণ বন্ধ । স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষের মধ্যে আনন্দ-উচ্ছ্বাস থাকলেও কিছুটা মন খারাপ ।
300 বছরের পুরানো মধ্যম কাত্তিক পুজো কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, বছর হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে জাঁকজমকভাবে পুজো করতে পারছিনা স্বাভাবিকভাবে আমাদের মন খারাপ । বড় কার্তিক পুজো কমিটির এক সদস্য নন্দলাল বিচ বলেন , সাড়ে 400 বছর ধরে নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে পুজো হয়ে আসছে কিন্তু করোনার জন্য এবছর কোন অনুষ্ঠানে হচ্ছে না । পাশাপাশি সাধারণ মানুষদের সচেতন করতে মাক্স ও স্যানিটাইজার এর ব্যবস্থা থাকছে বলে তিনি জানান ।
এ বিষয়ে সোনামুখী পৌরসভার বর্তমান প্রশাসক সুরজিৎ মুখার্জি বলেন , মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে সোনামুখী শহরের বিখ্যাত কার্তিক পুজো অনুষ্ঠিত হবে । সমস্ত পুজো কমিটি গুলোর সাথে আলাপ-আলোচনা করে আমরা করোনা বিধি মেনে এবছরের কার্তিক পুজো সম্পন্ন করব ।