ডিভিসির পাঞ্চেত ও মাইথন জলাধার থেকে জল ছাড়া শুরু হল ।

0
277

নরেশ ভকত :: ২৪ ঘন্টা লাইভ :: ৭ই,নভেম্বর :: বাঁকুড়া :: লকগেট ভাঙার ৬ দিন পর মেরামতির কাজ শেষ হয় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। তারপর ডিভিসির পাঞ্চেত ও মাইথন জলাধার থেকে জল ছাড়া শুরু হয়। ফলে যে সংকট তৈরি হয়েছিল তা কাটিয়ে ওঠে শুক্রবার বিকেল থেকেই দুর্গাপুর ও বাঁকুড়ায় জল সরবরাহ শুরু হওয়া স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে দুই জেলার শিল্পাঞ্চল। মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের ৮ টি ইউনিটের মধ্যে ১ নং ইউনিটটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বন্ধ থাকলেও ৭ টি ইউনিট সচল ছিল।

দুর্গাপুর ব্যারেজ বিপর্যয়ের কারণে বিদ্যুৎ প্রকল্পের জলাভাব দেখা দেয়। সে কারণে ৫০০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি ইউনিট বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় ডিভিসি। শুক্রবার থেকে জল সরবরাহের সবুজ সংকেত মেলায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরই ডিভিসি তাদের ১ নং ইউনিটি চালু করে দেয়। বিদ্যুৎ প্রকল্পের ডিজিএম প্রবীর চাঁদ জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে পাঞ্চেত ও মাইথন জলাধার ৯ হাজার কিউসেক জল ছাড়ে। তাতে শুক্রবার সকালে ব্যারেজের জল উঠে সমুদ্রপৃষ্ঠের ২০৬ ফুট।

২১০-২১২ ফুট পর্যন্ত জল না ওঠায় আমরা ইনটেক পাম্প হাউসের পাম্প চালাতে পারেনি। তবে শুক্রবার সকাল থেকে ডিভিসির পাঞ্চেত মাইথন জলাধার জল ছাড়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করলে বেলা ২ টার থেকে বিদ্যুৎ প্রকল্পের জল আসতে শুরু করে। এদিন রাতে বন্ধ থাকা ৫০০ মেগাওয়াটের একটি ইউনিট চালু করা সম্ভব হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। শনিবার থেকে ডিভিসির মেজিয়া প্রকল্প থেকে স্বাভাবিক উৎপাদন শুরু করবে।

মেজিয়া বড়জোড়া শিল্পাঞ্চলের যেসকল কারখানা জলের অভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল শনিবার থেকে সেগুলিও চালু হবে বলে জানা গেছে জেলা প্রশাসন সূত্রে। পাশাপাশি দুই জেলায় পানীয় জলের যে সমস্যা দেখা দিয়েছিল তাও এদিন দুপুরের পর থেকে স্বাভাবিক হয়েছে। অন্যদিকে সেচ দফতর সূত্রে জানা গেছে ২০১৭ সালে ১ নং লকগেট ভেঙে একই রকম বিপর্যয় শুরু হয়েছিল।

তখনই একটি ভাসমান ফ্লোটিং লকগেট তৈরি করা হয়েছিল। ঠিক ছিল ফের যদি কোনো লকগেট ভাঙে বা ভাঙার উপক্রম হয় তাহলে আপতকালীন সমস্যা সমাধানের জন্য ওই ফ্লোটিং গেটটি অকুস্থলে গেটের সামনে ভাসিয়ে নিয়ে এসে বসানো হবে। কিন্তু এক্ষেত্রে তা সম্ভব হয়নি। শুক্রবার গেট সারানো হলেও প্রযুক্তিবিদরা মনে করছেন ৩১ নং লকগেটটি যেহেতু দুর্বল হয়ে পড়েছে তাই তার সামনে এই ফ্লোটিং গেটটি বসানো উচিত। তাতে জলের চাপ বাড়লেও আশঙ্কা থাকবে না। শুক্রবার ব্যারেজে জলতল বাড়লে ফ্লোটিং গেটটি ১ নং লকগেটের কাছ থেকে ভাসিয়ে আনা হচ্ছে ৩১ নং লকগেটের কাছে। এদিনই সেটি বসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here