নরেশ ভকত::২৪ঘন্টা লাইভ ::২০ই জুলাই :: বাঁকুড়া :: তিন শিশু কন্যাকে আটকে রেখেছিলেন বাঁকুড়ার কালপাথর এলাকার একটি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল। আর এই তিন শিশুকে আটকে রাখার পিছনে পাচারের মতলব রয়েছে এমন আশঙ্কা থেকে সরব হলেন এলাকার মানুষ। তারা পুরো বিষয় খতিয়ে দেখতে পুলিশে খবর দেন। বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত কমল কুমার রাজোওয়াল নামে ওই ব্যক্তিকে আটক করেছে। উদ্ধার করে তিন শিশুকেও।
এদিকে, ওই শিশু তিনটির মা পরিচয় দিয়ে দুর্গাপুরের কাদারোডের মেনগেট এলাকার বাসিন্দা এক মহিলা নিজেকে স্বামীহারা বলে দাবী করে জানান,অভাব,অনটনে শিশু গুলিকে তিনি মানুষ করতে পারছিলেন না। শিশুগুলিকে তিনি দেখতে এলে তারা বাড়ী যাবার জন্য কান্নাকাটি করে।
গাড়ী করে তাই তাদের ফের বাড়ী নিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন স্থানীয় লোকজন শিশু পাচার সন্দেহে হল্লা করে। তার দাবী শিশু পাচারের ঘটনা নয় এটি।যদিও,এই শিশু তিনটিকে আটকে রাখার পিছনে ওই মহিলার দাবী যথেষ্ট অসঙ্গতিপূর্ণ। এই কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে এত ছোটো শিশুদের ভর্তিই নেওয়া হয় না। তাহলে কেন তাদের স্কুলে পড়াশোনা করানোর যুক্তি খাড়া করা হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
আর যদি প্রিন্সিপাল বাচ্চাগুলিকে মানুষ করার জন্যই এনে রাখেন? তাও বেআইনি। কারণ তার কাছে এই শিশু তিনটিকে দত্তক নেওয়ার কোন বৈধ সরকারি অনুমতি নেই। পুরোটাই আইন বিরুদ্ধ। এদিকে বাঁকুড়া থানার পুলিশ কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় এর প্রিন্সিপাল সহ আটজনকে গ্রেপতার করে বাঁকুড়া আদালতে তোলা হয়।