নতুন করে বিপদের আশংকায় ইতিমধ্যে বকখালিকে পর্যটক শুন্য করতে নির্দেশ জেলা প্রশাসনের ।।

0
132

সুদেষ্ণা মন্ডল ::২৪ঘন্টা লাইভ ::২৭ই সেপ্টেম্বর :: দক্ষিণ ২৪ পরগনা :: অন্ধ্র ও উড়িষ্যা উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাবের’তাণ্ডব। পাশাপাশি মঙ্গলবার আরও একটি নিম্নচাপ আসার কথা এ রাজ্যে । এই পরিস্থিতিতে বিপর্যয় এর হাত থেকে পর্যটকদের রক্ষা করতে আগাম ব্যবস্থা নিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। জেলার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র বকখালিতে সোমবার থেকে আগামী দু’দিন এর জন্য হোটেল বুকিং বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে ওই সময় পর্যটক শূন্য থাকবে বকখালি।
সোমবার এবং মঙ্গলবার বকখালিতে হোটেল বন্ধ থাকবে। বন্ধ হোটেলগুলির বুকিংও। এমনই নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। পর্যটকদের সমুদ্রে নামাতেও নিষেধ করা হয়েছে। যে সমস্ত পর্যটক যদি সমুদ্রে স্নান করতে নেমেছিল তাদের স্থলভাগের উঠে আসার জন্য অনুরোধ জানায় পুলিশ । পাশাপাশি মাইকিং এর মাধ্যমে সমুদ্রসৈকতে প্রচার চালায় প্রশাসন। ইতিমধ্যেই বহু পর্যটক বকখালিতে হোটেল না পাওয়ায় নিরাশ হয়ে বাড়ি ফিরছে । সকাল থেকেই ইতিমধ্যে কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়ে গিয়েছে বকখালিতে। বৃষ্টি শুরু হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকাতেও। ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে প্রবেশে করেছে। যদিও দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপর তেমন প্রভাব ফেলবে না ঘূর্ণিঝড় “গুলাব” ।

তবে উপকূলবর্তী এলাকাগুলি সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা জানিয়েছে হাওয়া অফিস। অতীতে ঘূর্ণিঝড় “ইয়াসের”কথা মাথায় রেখে সব রকমের প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে প্রশাসন। মাইকিং করে প্রচার চালানো হচ্ছে। উপকূল এবং বাঁধের ধারের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাইক্লোন সেন্টারগুলিও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। চালু করা হয়েছে দু’টি হেল্পলাইন নম্বরও— ০৩৩-২৪৪৮৮০৫১ এবং ০৩৩-২৪৪৮৮০৫২। নামখানা ব্লকের বিডিও জানান ‘‘জেলা প্রশাসনের নির্দেশ মতো বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রত্যেক বিভাগকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দ্বীপাঞ্চলের পাশাপাশি বেহাল বাঁধ যে সব এলাকায় রয়েছে, সেখানে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে ।

Adv : LOKENATH BANQUET

“ইয়াসে”র অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েই এ বারের বিপর্যয় মোকাবিলা করা হবে।’’ প্রশাসন সূত্রে খবর, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)-এর ২৫ সদস্যের একটি দল ইতিমধ্যেই নামখানাতে পৌঁছেছে। নামখানা, পাথরপ্রতিমা এবং সাগরের জন্যও একটি করে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দল (এসডিআরএফ) পাঠানো হচ্ছে। সোমবার সকাল থেকেই বকখালি এবং ফ্রেজারগঞ্জে পর্যটকদের সতর্ক করতে নেমে পড়ে উপকূল রক্ষী বাহিনী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here