নাগরিকত্ব থাকা সত্ত্বেও চূড়ান্ত হয়রানির শিকার, কাঠগড়ায় বিএসএফ

0
570

নিজস্ব সংবাদদাতা :: ২৪ ঘন্টা লাইভ :: ২১ মার্চ ::মালদহ :: ভারতীয় নাগরিকত্বের পরিচয় পত্র থাকলেও বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের বিড়ি বাঁধা কাজ করতে দিচ্ছে না বিএসএফ কর্তৃপক্ষ বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি ঘরোয়া নিত্য সামগ্রী নিয়ে যাতায়াতের ক্ষেত্রেও বিএসএফের চরম হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের।

এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে কালিয়াচক থানার চরিঅনন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সীমান্তবর্তী কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা গণস্বাক্ষর সম্বলিত জেলাশাসকের কাছে ডেপুটেশন দিলেন।

চরিঅনন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সীমান্তবর্তী গ্রাম দুইশতদিঘী , মহব্বতপুর, হাদিনগর। এইসব গ্রামের জনসংখ্যা প্রায় এক হাজার। অধিকাংশ গ্রামের বাসিন্দারা বিড়ি বাঁধার কাজের সঙ্গে যুক্ত। সেটাই তাদের মূল রুজি-রোজগার। কিন্তু সীমান্তবর্তী এলাকায় বিড়ির পাতা-মশলা আমদানি করতে দিচ্ছে না বিএসএফ বলে অভিযোগ তুলেছেন গ্রামবাসীরা। এমনকি বিড়ি বাঁধার কাজে বিঘ্ন ঘটানো হচ্ছে বিএসএফের পক্ষ থেকে।

এছাড়াও গ্রামের অধিকাংশ মানুষের ঘরোয়া খাদ্য সামগ্রী নিয়ে যাতায়াতের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করছে বিএসএফ কর্তৃপক্ষ। এব্যাপারে চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন সীমান্তবর্তী ওইসব গ্রামের হাজারো বাসিন্দারা । তাই এদিন প্রতিবাদ জানিয়ে জেলাশাসকের কাছে গণস্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন।

এদিন গ্রামবাসীদের সঙ্গে অভিযোগ নিয়ে জেলাশাসকের কাছে হাজির হয়েছিলেন কালিয়াচকের প্রাক্তন বিধায়ক বিশ্বনাথ ঘোষ। তিনি বলেন, মালদার চরিঅনন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এমনভাবে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে যাতে প্রায় এক হাজার মানুষ কাঁটাতারের বেড়ার ভারতীয় সীমান্তের ওপারে চলে গিয়েছে। সেই কাঁটাতারের বেড়ার মধ্যে থাকা এইসব গ্রামবাসীদের এখন জেরবার অবস্থা বলা যেতে পারে‌।

সীমান্ত সংলগ্ন ভারতীয় নাগরিকেরা যেন ডিটেনশন ক্যাম্পের মধ্যে বাস করছে। তাদের মূল রুজি-রোজগার বিড়ি বাঁধা এবং তা সরবরাহ করা। সেই কাজ এখন বিএসএফ কর্তৃপক্ষ করতে দিচ্ছে না । এছাড়াও যেকোনো নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে যাতায়াতের ক্ষেত্রে খাতায় বারবার সই করতে হচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here