ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো -র পরিসংখ্যান বলছেন, শুধুমাত্র ২০১৯ সালেই ৪২৪৮০ জন কৃষক ও দিনমজুর আত্মহত্যা করেছে !

0
289

আনন্দ মুখোপাধ্যায় :: ২৪ ঘন্টা লাইভ :: ৩রা সেপ্টেম্বর :: কোলকাতা :: কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বলেছেন, ‘অ্যাক্ট অফ গড’। কিন্তু কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী যাই বলুন না কেন, ২০১৯ সালে যখন করোনার কোনও থাবাই ছিলই না, তখনও দেশের কৃষক ও দিনমজুরদের দুরাবস্থা আরও একেবার কেন্দ্রের দিশাহীনতারই প্রমাণ দিচ্ছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো -র পরিসংখ্যান বলছেন, শুধুমাত্র ২০১৯ সালেই ৪২৪৮০ জন কৃষক ও দিনমজুর আত্মহত্যা করেছে। ২০১৮ সালের তুলনায় আত্মহত্যার ঘটনা বেড়েছে ৬ শতাংশ। তবে, ২০১৮ সালের তুলনায় গত বছরে কৃষকদের আত্মহত্যার ঘটনা কিছুটা কম। যদিও দিনমজুরের আত্মহত্যার ঘটনা বেড়েছে ৮ শতাংশ।

এনসিআরবি র তথ্য বলছে, ২০১৮ সালে ১০ হাজার ৩৫৭ কৃষক আত্মহত্যা করেছিলেন। সেখানে গত বছর ১০ হাজার ২৮১ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। দুবছরের মধ্যে তফাৎ সামান্যই। অপরদিকে, ২০১৮ সালে ৩০,১৩২ দিন মজুর আত্মহত্যা করেছিলেন। সেখানে ২০১৯-এ সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে ৩২,৫৫৯।

কৃষি ক্ষেত্রে আত্মহত্যার নিরিখে শীর্ষ রয়েছে মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলঙ্গানা। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, পশ্চিমবঙ্গে কোনো কৃষক আত্মহত্যা করেননি বলেই উল্লেখ করেছে এনসিআরবি।

ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, দেশের মোট আত্মহত্যার সংখ্যাটাও রীতিমতো আশঙ্কার। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে আত্মহত্যার ঘটনাও বেড়েছে অনেক। ২০১৮ সালে দেশে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছিল ১ লক্ষ ৩৪ হাজার ৫১৬। ২০১৯ সালে সেই সংখ্যাটাই বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ৩৯ হাজার ১২৩ জন। আর এক্ষেত্রে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনাই সর্বাধিক। আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে ৫৩.৬ শতাংশ মানুষ গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে ২০১৯ সালে। বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন ২৫.৮ শতাংশ মানুষ। জলে ডুবে আত্মহত্যা করেছেন ৫.২ শতাংশ মানুষ।

কংগ্রেস সোহো বিরোধী দলগুলি রি রিপোর্ট সামনে আসার পর কেন্দ্রের অ – জনহিতকর অর্থনীতিকেই দুষছে । আর সবথেকে বেশিক্যরে যা সামনে এসেছে তা হলো এই পরিসংখ্যান যখন দেশে করোনা ছিলোনা সেই সময় কার তথ্য বিরোধীদের বক্তব্য তাহলে এটা মানতেই হবে যে দেশের অর্থনীতির মেরুদন্ড কি তাহলে সত্যিই ধ্বসে পড়েছে ?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here