পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে এলাহি বন্দোবস্তে খরচ বাড়ছে ৪০০ কোটি টাকা

0
253

রাজীব গুপ্তা :: ২৪ ঘন্টা লাইভ :: ২০শে ফেব্রুয়ারি :: কলকাতা ::

রাজ্য নির্বাচনে খরচ বাড়ছে ৪০০ কোটি

 

 

 

আজকেই পশ্চিমবঙ্গে ১২৫ কোম্পানি আধাসেনা আসছে যদিও এখন ও নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়নি । এবারের বিধানসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ভোটকেন্দ্র ও নির্বাচনী কাজে নিয়োগ করা কর্মীর সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। ভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা ও ভোটারদের কেন্দ্রে গিয়ে যাতে দীর্ঘক্ষণ লাইনে অপেক্ষা করতে না, হয় সেই লক্ষ্যে এসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

কমিশনের এমন এলাহি বন্দোবস্তের কারণে তাই এ রাজ্যে ভোটের খরচও এবার বেড়ে যাচ্ছে। প্রাথমিক খরচ ধরা হয়েছে ১ হাজার কোটি টাকা । ২০১৯ সালে সর্বশেষ এই রাজ্যের লোকসভা নির্বাচনে খরচ হয়েছিল ৬০০ কোটি টাকা ।

গত লোকসভা নির্বাচনে এই রাজ্যে নামানো হয়েছিল ৭২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্য। আর সর্বশেষ ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও এই সংখ্যা ছিল ৭২০ কোম্পানি। এবার সেই সংখ্যা বাড়তে পারে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ।

গত লোকসভার ভোটে রাজ্যে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ৭৮ হাজার ৮০৩। এবার করোনাসহ অন্যান্য কারণে বিধানসভা নির্বাচনে এটি করা হচ্ছে ১ লাখ ১ হাজার ৭৯০টি। নির্বাচন কমিশন এবার সব ভোটকেন্দ্র ভবনের নিচতলায় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় প্যান্ডেল বানিয়ে ভোটকেন্দ্র তৈরি করারও উদ্যোগ নিয়েছে কমিশন। রাজ্যজুড়ে এমন ৩০ হাজার প্যান্ডেল করা হবে বলে প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে।

প্রতিটি কেন্দ্রে নির্বাচনী কাজের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের জন্য রাখা হচ্ছে বিশেষ কোভিড কিট। প্রত্যেক ভোটারের জন্য থাকবে গ্লাভস। গ্লাভস পরে ভোটারদের ভোট দিয়ে তা ফেলে দিতে হবে ডাস্টবিনে। থাকবে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে থার্মাল স্ক্যানার। এ জন্য নিয়োগ করা হবে অতিরিক্ত কর্মী। ভোটের কাজ সম্পন্ন করার জন্য লাগবে ৬ লাখ কর্মী। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই কর্মীর সংখ্যা ছিল সাড়ে ৩ লাখ।

বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে উত্তেজনার পারদ এখন চরমে। আগামী এপ্রিলে এ নির্বাচন হওয়ার কথা। তবে একই সময়ে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ভারতের আরও চার রাজ্যে বিধানসভার নির্বাচন হবে। এই রাজ্যগুলো হলো কেরালা, তামিলনাড়ু, আসাম ও পদুচেরি বা পন্ডিচেরি। নির্বাচন নিয়ে ওই সব রাজ্যে প্রচার থাকলেও সবচেয়ে বেশি নজর এবার পশ্চিমবঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে হারানোর জন্য যেন আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছে বিজেপি। তাদের লক্ষ্য এই বাংলার রাজ্যপাট থেকে তৃণমূলকে সরানো।

ছবি : রাজ্য নির্বাচন অফিসার – অরিজ আফতাব 

পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যে তৎপর হয়েছে রাজ্যের নির্বাচন দপ্তরও। তারাও আসন্ন এই নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরি করছে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার আরিজ আফতাব এ–সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন দিল্লির নির্বাচনী অফিসে পাঠিয়েছেন। এটি পর্যালেচনা করে এ রাজ্যের নির্বাচনের নির্ঘন্ট তৈরি করবে নির্বাচন কমিশন। তবে যতটুকু জানা যাচ্ছে, এবার পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার ২৯৪ আসনে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে তৎপর রয়েছে নির্বাচন কমিশন।

২২ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পশ্চিমবঙ্গ সফরে আসবেন। ওই দিন প্রধানমন্ত্রীর কলকাতা মেট্রোরেলের নোয়াপাড়া থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত সম্প্রসারিত অংশের উদ্বোধন করার কথা। এরপর হুগলির চুঁচুড়ায় একটি নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের পর কমিশন রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা করতে পারে বলে জানা গেছে।

নির্বাচনী নির্ঘন্ট প্রকাশের পরপর কার্যকর হবে নির্বাচনী আচরণবিধি। সঙ্গে রাজ্যে নিয়োগ করা হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাজ্যে শান্তি–শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিভিন্ন স্থানে টহল শুরু করবে তারা।

রাজীব গুপ্তা :: ২৪ ঘন্টা লাইভ :: ২০শে ফেব্রুয়ারি :: কলকাতা :: আজকেই পশ্চিমবঙ্গে ১২৫ কোম্পানি আধাসেনা আসছে যদিও এখন ও নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়নি । এবারের বিধানসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ভোটকেন্দ্র ও নির্বাচনী কাজে নিয়োগ করা কর্মীর সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। ভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা ও ভোটারদের কেন্দ্রে গিয়ে যাতে দীর্ঘক্ষণ লাইনে অপেক্ষা করতে না, হয় সেই লক্ষ্যে এসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

কমিশনের এমন এলাহি বন্দোবস্তের কারণে তাই এ রাজ্যে ভোটের খরচও এবার বেড়ে যাচ্ছে। প্রাথমিক খরচ ধরা হয়েছে ১ হাজার কোটি টাকা । ২০১৯ সালে সর্বশেষ এই রাজ্যের লোকসভা নির্বাচনে খরচ হয়েছিল ৬০০ কোটি টাকা ।

গত লোকসভা নির্বাচনে এই রাজ্যে নামানো হয়েছিল ৭২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্য। আর সর্বশেষ ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও এই সংখ্যা ছিল ৭২০ কোম্পানি। এবার সেই সংখ্যা বাড়তে পারে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ।

গত লোকসভার ভোটে রাজ্যে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ৭৮ হাজার ৮০৩। এবার করোনাসহ অন্যান্য কারণে বিধানসভা নির্বাচনে এটি করা হচ্ছে ১ লাখ ১ হাজার ৭৯০টি। নির্বাচন কমিশন এবার সব ভোটকেন্দ্র ভবনের নিচতলায় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় প্যান্ডেল বানিয়ে ভোটকেন্দ্র তৈরি করারও উদ্যোগ নিয়েছে কমিশন। রাজ্যজুড়ে এমন ৩০ হাজার প্যান্ডেল করা হবে বলে প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে।

প্রতিটি কেন্দ্রে নির্বাচনী কাজের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের জন্য রাখা হচ্ছে বিশেষ কোভিড কিট। প্রত্যেক ভোটারের জন্য থাকবে গ্লাভস। গ্লাভস পরে ভোটারদের ভোট দিয়ে তা ফেলে দিতে হবে ডাস্টবিনে। থাকবে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে থার্মাল স্ক্যানার। এ জন্য নিয়োগ করা হবে অতিরিক্ত কর্মী। ভোটের কাজ সম্পন্ন করার জন্য লাগবে ৬ লাখ কর্মী। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই কর্মীর সংখ্যা ছিল সাড়ে ৩ লাখ।

* বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে উত্তেজনার পারদ এখন চরমে। আগামী এপ্রিলে এ নির্বাচন হওয়ার কথা। তবে একই সময়ে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ভারতের আরও চার রাজ্যে বিধানসভার নির্বাচন হবে। এই রাজ্যগুলো হলো কেরালা, তামিলনাড়ু, আসাম ও পদুচেরি বা পন্ডিচেরি। নির্বাচন নিয়ে ওই সব রাজ্যে প্রচার থাকলেও সবচেয়ে বেশি নজর এবার পশ্চিমবঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে হারানোর জন্য যেন আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছে বিজেপি। তাদের লক্ষ্য এই বাংলার রাজ্যপাট থেকে তৃণমূলকে সরানো।

পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যে তৎপর হয়েছে রাজ্যের নির্বাচন দপ্তরও। তারাও আসন্ন এই নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরি করছে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার আরিজ আফতাব এ–সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন দিল্লির নির্বাচনী অফিসে পাঠিয়েছেন। এটি পর্যালেচনা করে এ রাজ্যের নির্বাচনের নির্ঘন্ট তৈরি করবে নির্বাচন কমিশন। তবে যতটুকু জানা যাচ্ছে, এবার পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার ২৯৪ আসনে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে তৎপর রয়েছে নির্বাচন কমিশন।

২২ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পশ্চিমবঙ্গ সফরে আসবেন। ওই দিন প্রধানমন্ত্রীর কলকাতা মেট্রোরেলের নোয়াপাড়া থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত সম্প্রসারিত অংশের উদ্বোধন করার কথা। এরপর হুগলির চুঁচুড়ায় একটি নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের পর কমিশন রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা করতে পারে বলে জানা গেছে।

নির্বাচনী নির্ঘন্ট প্রকাশের পরপর কার্যকর হবে নির্বাচনী আচরণবিধি। সঙ্গে রাজ্যে নিয়োগ করা হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাজ্যে শান্তি–শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিভিন্ন স্থানে টহল শুরু করবে তারা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here