প্রত্যয়ান্ত সুন্দরবন গ্রামের, বিক্রি হয়ে যাওয়া, অসহায় নারীর কান্না ।

0
680

নিজস্ব সংবাদদাতা::নিউজ ২৪ ঘন্টা::২৬ জানুয়ারি::সুন্দরবন :: উত্তর 24 পরগনার বনগাঁ, বারাসাত, বসিরহাট মহকুমার সহ। সুন্দরবন লাগোয়া গত তিন মাসে ভিন রাজ্য থেকে পাচার হওয়া 35 জন যুবতী ফিরে এসেছে। ফিরে আসার পরে তাদের জীবন কাহিনী তুলে ধরেছে কতটা নির্মম অত্যাচার, শারীরিক ও মানসিক।


সে জ্বলন্ত উদাহরণ তুলে ধরেছে সবার সামনে। কাউর স্বামী মোটা টাকায় বিক্রি করেছে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে ভিন রাজ্যে নিয়ে গিয়ে। আবার   কারোর ভালোবাসার বন্ধু সেজে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভিন রাজ্যে নিয়ে গিয়ে তাদেরকে দেহ ব্যবসার কাজে লাগিয়েছে। আবার কারোর বাবা মেয়েকে কাজ করার জন্য পাঠিয়েছে অন্য রাজ্যে দিল্লির, কেরালা, পুনে, মুম্বাই এইসব রাজ্য থেকে ফিরে আসা যুবতীরা এই মর্মান্তিক জীবন কাহিনী শোনালো। যাতে অন্য মেয়েদের সঙ্গে না হয়।

তাই তারা আজ সীমান্ত থেকে শুরু করে সুন্দরবন লাগোয়া ব্লক সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদ, বসিরহাট, বাদুড়িয়া,সরুপনগর প্রচার লিফলেট ছাপিয়ে তারা শিশু, নারী পাচার সঙ্কল্প নিয়েছে। একদিকে তাদেরকে বোঝাচ্ছে।অন্য দিকে তাদের জীবন সংগ্রামের কতটা কঠিন লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে ফিরে এসেছে । কতটা মর্মান্তিক নির্যাতন বাস্তব তা তুলে ধরছে। আবার বাল্যবিবাহ রোধে এরা বড় ভূমিকা নিয়েছে। বুঝিয়ে দিচ্ছে এর ফলে কি কি হতে পারে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের বিজয়িনী উত্থান কেয়া প্যাট উদ্যোগ নিয়েছেন ।রত্না মন্ডল রিঙ্কু অধিকারী, মারিয়াম খাতুন, শাকিলা খাতুন, বিকাশ দাস রা । এদেরকে মূলস্রোতে ফিরিয়ে নতুন জীবনে ফিরিয়ে দেয়ার শপথ নিয়েছেন । এইসব ফিরে আসা মেয়েদের পুনর্বাসন ও তাদের রুজি রোজগার করার জন্য। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে তারা ঘর পেয়েছে সরকারি ভাবে মাসে মাসে জিয়ার পাচ্ছে ।কিছু অর্থের অনুদান পাচ্ছে ।এদের কাউকে এখন স্বামী ঘরে তোলে না। বাবা-মা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে এদের কাছ থেকে। গ্রামের মানুষ সামাজিক বয়কটের ডাক দিয়েছে। তাই এরা নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে একদিকে এই বাস্তব জীবন তুলে ধরা। অন্যদিকে নিজেরা সেলাইয়ের কাজ করে নিজেদের জীবন বাঁচানোর সংকল্প নিয়েছে।

পাচার হওয়া মেয়েদের মূল দাবি যারা এই ঘটনার অভিযুক্ত তারা প্রকাশ্য দিবালোকে ঘুরে বেড়াচ্ছে, আদালতের কাছে তাদের প্রার্থনা দ্রুত এই বিচার ব্যবস্থা নিষ্পত্তি করা হোক। অন্যদিকে কখনো চলে যেতে হয় হোমে, সেখানে ঠিকমত পরিষেবা পাওয়া যায় না, তাদেরকে আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করা, অন্যদিকে শারীরিক সুস্থ রাখার জন্য ঠিকমতো চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here