সুদেষ্ণা মন্ডল ::২৪ঘন্টা লাইভ ::২৮ই সেপ্টেম্বর :: দক্ষিণ ২৪ পরগনা :: এক প্রোমোটারের কাছে ৫ লক্ষ টাকা প্রটেকশন মানির দাবি স্থানীয় দুষ্কৃতীর। প্রোমোটার তা দিতে অস্বীকার করায় বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারধর করে শুন্যে এক রাউন্ড ফায়ার ও প্রাণে মারার হুমকি। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে। সোমবার রাতে বারুইপুর উকিলপাড়া মোড়ের কাছে দেবাশীষ দাস নামে এক স্থানীয় প্রোমোটারের কাছে আসে টুকান দাস নামে এক দুষ্কৃতী।
ঐ এলাকায় একটি ফ্ল্যাটের কাজ শুরু করতে চলেছেন ওই প্রোমোটার। আর সেই জন্য ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে টুকান দাস নামে ওই দুষ্কৃতী। তা নিয়েই শুরু হয় বচসা। এর পরে প্রকাশ্যে বন্দুক বার করে ওই প্রোমোটারকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারধর করা হয়। শুন্যে এক রাউন্ড ফায়ার করার পাশাপাশি ওই প্রোমোটারকে প্রাণে মারার হুমকিও দেয় ওই দুষ্কৃতী। আর সেই সময় রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল এক জন পুলিশ কর্মী।
প্রকাশ্যে বন্দুক নিয়ে একজনকে প্রাণে মারার হুমকি দিতে দেখে সে ঐ পুলিশকর্মী ঝাঁপিয়ে পড়ে ও দুস্কৃতির হাত থেকে বন্দুকটি কেড়ে নেয়। এরপরে স্থানীয়রা ঘিরে ধরে দুষ্কৃতীকে দেয় ব্যাপক গনধোলাই। খবর যায় বারুইপুর থানার পুলিশের কাছে। বারুইপুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। তারা গুরুতর আহত অবস্থায় সেই দুষ্কৃতীকে উদ্ধার করে। পাশাপাশি উদ্ধার করা হয় বন্দুক। গুরুতর আহত অবস্থায় দুষ্কৃতীকে নিয়ে যাওয়া হয় বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসার পর তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এই টুকান দাস নামের দুষ্কৃতী কয়েক মাস আগেই সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছিল। সোনারপুর থেকে তার প্রেমিকাকে অপহরণ করে এনেছিল বারুইপুরের বাড়িতে। পুলিশ অপহৃত মহিলাকে উদ্ধার করতে গেলে সে পুলিশকে মারধর করে, এমনকি পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতেও যায় বলে অভিযোগ ওঠে । সেই ঘটনায় সাত দিন আগে সে জেল থেকে মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে আবার কি করে ওই দুষ্কৃতী বন্দুক জোগাড় করল তা নিয়ে ।সোমবার গভীর রাতে বারুইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে আক্রান্ত প্রোমোটার দেবাশীষ দাস। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও গুলি চলার ঘটনা অস্বীকার করেছে পুলিশ।