২৪ঘনটালাইভ সংবাদাতা /রাজিব গুপ্তা / ভাটপাড়া / ৭ ফেব্রুয়ারি :
বিভিন্ন কর্মদক্ষতার মধ্যে দিয়ে, মানুষের ভরসা কে জয় করে তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল, মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
বর্তমানে মানুষ কে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করার মধ্যেই তার লক্ষ্য কেন্দ্রীয় রাজনীতি তে পদার্পণ করা ।
কিন্তু সেখানে যাওয়ার জে পথ, সেই পথ এত সহজ নয় । কারণ জে কোনো রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা বজায় রেখে সাধারণ মানুষ এর সুরক্ষা, বিশেষ করে মহিলাদের অধিকার এর রক্ষা থাকে প্রথম দাইত্ব । আর সেই দিকে খামতি থাকলেই উঠতে থাকে প্রশ্ন । সেগুলোই হলো এক বড় সড় বাধা ।
বর্তমানে ভাটপাড়ায় ঘটে চলেছে এক বিক্ষিপ্ত ঘটনা, যেখানে পুলিশ এর কাছে আইন নয় বোধয় অন্য কিছু হয় পাচ্ছে তাদের কাছে প্রাধান্য ।
তারা সেটাও দেখছেন না জে প্রতারিত টি কোনো মহিলা, তারা দেখছেন শুধু সামনে ওয়ালা মানে প্রতারক রা যা দেখাচ্ছেন ।
কারণ এটা আমরা সকলে জানি জে কোনো সম্পত্তির উপর যখন ১৪৪ ধরা বা ইঞ্জাংশান থাকে তক্ষন সেখানে কোনো ভাবে কিছু মেরামত বা নির্মাণ করা যায় না ।
আর তা যদি হয়, তাকে আইন বা মহামান্য আদালতের অপমান বলা হয় ।
কিন্তু ভাটপাড়ায় এই বিষয় নিয়ে না রয়েছে পুলিশের মাথাব্যথা না কোনো পরোয়া করেন আইন অমান্যকারী রা । এখানে বেকায়দায় রয়েছেন শুধু আইন কে যারা ভরসা করেন ।
ভাটপাড়া ১৩ ন: ওয়ার্ডে আর্যসমাজ রোডে এক মহিলা Rita Gupta র আদালতে করা একটি মামলা কে কেন্দ্র করে দেখা যাচ্ছে পুলিশের অন্য ধরনের আচরণ ।
তারা প্রতারিত বা আবেদনকারী মহিলার কোনো কথাই শুনছেন না। তার মামলার রায় আসার আগেই অপর পার্টি সেই সম্পত্তি তে যা খুশি করে আইন কে অমান্য করছে, আর ভাটপাড়া পুলিশের কাছে গেলে তারা গাড়ি নেই বা যাওয়ার মতন লোক নেই বাহানা করে তাকে ঘণ্টার পর ঘন্টা বসিয়ে রাখছে আর অপর পার্টি নিজের কাজ সম্পূর্ন করে নিলে সেখানে পুলিশ গিয়ে বলছে আর কাজ করা যাবে না ।
সই ১৪৪ ধরা জারি থাকা বাড়ি তে গত ১৯ জানুয়ারি জোর করে জলের লাইন বসানো হলো, সেই বেআইনি কাজ আটকাতে প্রথমে তারা দ্বারস্থ হয় পুলিশের, তারা কোনো সাড়া দিলো না । পরবর্তী তে বাধ্য হয় সেই গর্তের মধ্যে ঢুকে পড়েন স্বয়ং আবেদনকারী রিতা গুপ্তা ও তার ছেলে । তাতেও জাগলো না পুলিশের বিবেক ।
এর পর সাহস বৃদ্ধি পায় রাম চন্দ্র সাউ ও তার ছেলেদের, তারা রিতা গুপ্তা মানে এক মহিলা কে সরাসরি হামলা করে, আর আক্রান্ত হলেও তারা হার মানতে রাজি নয় । কিন্তু শেষ মেষ আহত অবস্থায় এলকার কিছু মহিলারা তাদের তোলেন সেই গর্তের ভেতর থেকে ।
কিন্তু রাম চন্দ্র বাবুদের মাথায় দেখা গেলো না কোনো চিন্তার ভাঁজ , তারা দিব্বি চালিয়ে গেলেন তাদের কাজ ।
এতেই স্পষ্ট জে পুলিশ আর অপর পার্টির মধ্যে রয়েছে কোনো গোপন সম্পর্ক ।
কখন গেটের তালা খুলে দিচ্ছে, কখনো জলের নতুন লাইন লাগানো হচ্ছে এবার নাকি আদালতের কোনো অনুমতি ছাড়াই পুলিশের মদতে সেই বাড়িতে পাঁচিল দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েফেলেছেন দ্বিতীয় পক্ষ মানে রাম চন্দ্র প্রসাদ বাবু । তাদের সাফ বক্তব্য “জে যা পারে করুক, আমার সাথে পুলিশ, মস্তান ও রাজনীতি সব ক্ষমতা আছে, দেখছি কে আমার কাজ আটকায় ।’
এবারও দেখার বিষয় জে এখানেও আইনের শাসন চলবে না কি শাসকের আইন ?
তাদের