আনন্দ মুখোপাধ্যায় :: ২৪ ঘন্টা লাইভ :: ২০শে,জুলাই :: নয়াদিল্লি :: গোটা ভারতে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করেছে করোনা। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে সর্বোচ্চ সংক্রমণের নয়া রেকর্ড হয়েছে। একদিনে করোনা আক্রান্ত হলেন ৪০ হাজারের বেশি মানুষ। এরই পাশাপাশি করোনা আক্রান্ত হয়ে গোটা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে ভারতে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ১১ লাখের গণ্ডি পার করেছে।
লাগামছাড়া সংক্রমণ গোটা ভারত জুড়ে। দেশটির কোনায়-কোনায় বিদ্যুৎ গতিতে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। সোমবার সকাল পর্যন্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুয়ায়ী দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১১ লাখ ১৮ হাজার ৪৩ জনে পৌঁছেছে। করোনায় মৃত বেড়ে হয়েছে ২৭ হাজার ৪৯৭ জন। এখনও পর্যন্ত করোনায় আইসোলেশনে আছে ৩ লাখ ৯০ হাজার ৪৫৯ জন। ৭ লাখেরও বেশি মানুষ করোনামুক্ত হয়েছেন।
ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে করোনা। যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে রীতিমতো আতঙ্কে বিশেষজ্ঞরাও। তাদের অনেকেরই দাবি, ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে। আশঙ্কা বাড়িয়ে এবার ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনেরও কেউ কেউ বলছেন, করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে। আগে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও তার রাজ্যের কয়েকটি এলাকায় গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা জানিয়েছিলেন। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরুর বিষয়টি নিয়ে কোনও স্পষ্ট ব্যাখ্যা মেলেনি।
মহারাষ্ট্রেই এখনও পর্যন্ত দেশের মধ্যে সর্বাধিক সংক্রমণ ছড়িয়েছে। সোমবার সকাল পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে ৩ লাখ ১০ হাজার ৪৫৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার ৮৫৪ জনের। সংক্রমণ মোকাবিলায় মুম্বই,পুনেসহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার কন্টেনমেন্ট জোনগুলিতে লকডাউন চলছে।
মহারাষ্ট্রের পরেই দেশের মধ্যে করোনার সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়িয়েছে তামিলনাড়ুতে। দক্ষিণের এই রাজ্যে সোমবার সকাল পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ৭০ হাজার ৬৯৩। তামিলনাড়ুতে করোনায় মৃত বেড়ে ২৪৮১।মোট সংক্রমণের নিরিখে তালিকায় তৃতীয় হলেও লাগাতার মনিটরিংয়ে কাজ দিয়েছে দিল্লিতে। সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে খানিকটা হলেও লাগাম টানা সম্ভব হয়েছে। সোমবার সকাল পর্যন্ত দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ২২ হাজার ৭৯৩।
এছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গসহ একাধিক রাজ্যে প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সংক্রমণে বেড়ি পরাতে এই রাজ্যগুলির কন্টেনমেন্ট জোনগুলিতে লকডাউন জারি রাখা হয়েছে।