আনন্দ মুখোপাধ্যায় :: ২৪ ঘন্টা লাইভ :: ২৭শে সেপ্টেম্বর :: নয়াদিল্লি :: আজ সকালেই প্রয়াত হলেন ভারতের প্রাক্তন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং ভারতের পক্ষে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের নায়ক যশোবন্ত সিং । তাঁর মৃত্যুতে রাজনীতির এক মূল্যবোধের রাজনীতির যুগের অবসান হলো । অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসাবে একের পর এক বড় সিদ্ধান্তের কাণ্ডারী ছিলেন যশবন্ত সিং। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী যশবন্ত সিংয়ের জীবনাবসানের খবর এদিন প্রকাশ পেতেই একের পর এক শোক বার্তা উঠে আসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের তরফে।
দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতা ঘিরে রেখেছিল এই প্রাক্তন মন্ত্রীকে। সেই দীর্ঘ লড়াই কাটিয়ে এদিন প্রয়াত হন তিনি। এদিন নিজের শোকবার্তায় রাজনাথ সিং লেখেন, ‘গভীরভাবে শোকাহত বিজেপি নেতা ও প্রাক্তন মন্ত্রী যশবন্ত সিংয়ের জীবনাবসানের খবরে। দেশকে বহুভাব সেবা করেছেন তিনি, যার মধ্যে রয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসাবে সেবা দান। একজন কার্যকরী মন্ত্রী ও সাংসদ হিসাবে যিনি নিজেকে তুলে ধরেছিলেন।’
জানা গিয়েছে সকালে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছিল তাঁর। এরপর সকাল ৬টা ৫৫ মিনিটে প্রয়াত হন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।
বাজপেয়ী মন্ত্রিসভার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক সামলেছেন যশবন্ত। অর্থমন্ত্রক, বিদেশমন্ত্রক, প্রতিরক্ষামন্ত্রক যখন যে দায়িত্ব পেয়েছেন, দক্ষতার সঙ্গে সামলেছেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর ঘনিষ্ঠ এবং বিশ্বস্ত হিসেবে পরিচিত ছিলেন। দেশের সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের সাংসদদের মধ্যে একজন ছিলেন বর্ষীয়ান এই নেতা।
১৯৮০ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত মোট ৯ বার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। ৫ বার রাজ্যসভায়। চারবার লোকসভায়। ২০০৪ সালে ক্ষমতা হারানোর পর রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা হিসেবেও কাজ করেছেন যশবন্ত। মন্ত্রী থাকাকালীন তাঁকেই পরমাণু নীতি নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনার দায়িত্ব দিয়েছিলেন বাজপেয়ী। পোখরানে ভারতের পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার নেপথ্যেও তাঁর ভূমিকা ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ।