নিজস্ব সংবাদদাতা :; ২৪ ঘন্টা লাইভ :: ৩রা,জুলাই :: কলকাতা :: গোটা বিশ্বে ইতিমধ্যেই করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১ কোটিরও বেশি মানুষ। ভারতেও আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত বিশ্বের কোথাও করোনার কোনও টিকা বাজারে আসেনি। বেশ কয়েকটি টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রথম দেশীয় করোনা টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানোর জন্য বিশাখাপত্তনম, রোহতক, দিল্লি, পটনা, বেলগাঁও (কর্নাটক), নাগপুর, গোরখপুর, হায়দরাবাদ, গোয়া, আর্য নগর, কানপুর ও কাট্টানকুলাথুরের (তামিলনাড়ু) প্রতিষ্ঠানগুলিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে আইসিএমআর সূত্রের খবর।
আইসিএমআর-এর তরফে জানানো হয়েছে, খুব দেরি হলেও যাতে ১৫ অগস্টের মধ্যেই এই টিকা সকলের ব্যবহারের জন্য বাজারে নিয়ে আসা যায়, তার জন্য সব ধরনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল দ্রুত শেষ করতে বলা হয়েছে দেশের ১২টি প্রতিষ্ঠানকে। সেই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানোর জন্য যে সরকারি অনুমোদন লাগে, দেরি না করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলিকে তা জোগাড় করে নিতে বলা হয়েছে।
এরই মধ্যে দেশের বাছাই করা কয়েকটি শহরের সঙ্গে কলকাতায় শুরু হলো করোনার বিসিজি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। শুক্রবার প্রথম দিনেই ৪০জন সুস্থ ও প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির COVID পরীক্ষা নেগেটিভ রিপোর্ট আসার পর তাঁদের শরীরে ফুঁড়ে দেওয়া হলো ব্যাসিলাস কালমেট গুইরিন (BCG) ভ্যাকসিন। বস্তুত, এই ট্রায়াল যাতে প্রকাশ্যে না আসে তার জন্য যথেষ্ট সাবধানতা নেওয়া হয়েছে। যাঁরা ভ্যাকসিন নেবেন, তাঁদের পরিচয় গোপন রাখা হবে। এমনই কঠোর অনুশাসন রয়েছে ICMR-এর।
ভ্যাকসিন দেওয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের স্মার্ট ফোনে একটি অ্যাপ যুক্ত করা হচ্ছে। প্রয়োজন অনুযায়ী তাঁদের সঙ্গে এই অ্যাপ থেকে যোগাযোগ করা হবে। করোনায় ফ্রন্টলাইন যোদ্ধাদের উপর এই ভ্যাকসিন কতটা কার্যকর হয়, তার উপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতে আমজনতার উপর এটি প্রয়োগ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।